শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয় ৮ আগস্ট। কিন্তু, কতদিন ক্ষমতায় থাকবে এই সরকার, এ ব্যাপারে ভিন্নমত রয়েছে একাধিক রাজনৈতিক দলসমূহের। এরইমধ্যে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি দল ৩ মাস পর নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। অপরদিকে, জাতীয় পার্টির রয়েছে ভিন্নমত। দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ দ্রুত ও দৃশ্যমান হলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদ নিয়ে আপত্তি নেই তাদের। তবে দীর্ঘমেয়াদি কাজ করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোকে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক হবে না বলেও মনে করেন তিনি।
একান্ত সাক্ষাৎকারে জি এম কাদের বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত নতুন সরকারকে জনগণের প্রতিনিধি হতে হবে। এক্ষেত্রে আস্থার সংকট হলে অভ্যন্তরীণ বিভেদ ও জটিলতা বাড়বে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া আইন-প্রশাসন ও বিচারবিভাগ সংস্কারসহ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। অর্থনীতি চাঙা করা এই মুহূর্তে সরকারের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ বলেও মনে করেন তিনি।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারে অন্তবর্তীকালীন সংস্কারের কার্যক্রম দৃশ্যমান হতে হবে। এক্ষেত্রে দ্রুত রুপকল্প না দিলে মানুষ হতাশ হবে। বাড়তে পারে সাংবিধানিক ও অভ্যন্তরীন সংকটও। এসময় মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম মনিটরিং এ সহ-উপদেষ্টা নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে উল্লেখ করে তারা যেন অযাচিত হস্তক্ষেপ না করেন-এ নিয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান জিএম কাদের।
এছাড়া আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখা ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও অন্য দেশগুলোর সাথে দ্বিপাক্ষিক পররাষ্ট্রনীতির ওপর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে জোর দেবার কথাও বলেন তিনি।