মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট লঘুচাপে ভাদ্রের শুরুতেও বর্ষাকালের আবহ তৈরি হয়েছে রাজধানীসহ সারাদেশে। সারারাতের মুষলধারে বৃষ্টির ধারা বজায়ে রয়েছে সকালেও। ফলে সকাল থেকে তীব্র যানজটে অতিষ্ঠ রাজধানীবাসী। বিশেষ করে সকালে যানজটের কবলে পড়ে ভোগান্তিতে পড়ছেন অফিসগামীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটছে গাড়িতে। অনেকে পায়ে হেঁটে মাইলের পর মাইল পাড়ি দিচ্ছেন গন্তব্যে।
নগরীর একাধিক স্থানে গাড়ি বিকল হয়ে যানযট আরও তীব্র হয়েছে। সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় যানজটের এসব চিত্র দেখা যায়।
মগবাজার থেকে মহাখালী হয়ে আব্দুল্লাহপুর সড়কে তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে। মগবাজার মোড় থেকে সিগনালে আটকে থাকা গাড়ির সারি মগবাজার ওয়ারলেসের কাছাকাছি পৌঁছেছে। এদিকে তেজগাঁও এলাকার তিব্বত ও নাবিস্কো পয়েন্টে দীর্ঘ সময় গাড়ি ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার চিত্রও অনেকটা একই। একই অবস্থা বানানী ও রেডিসন থেকে এয়ারপোর্ট সড়কে।
বলাকার সামনে একটি লং ভেহিক্যাল (কাভার্ড ভ্যান) বিকল হওয়ায় এ মুহূর্তে রেডিসন থেকে এয়ারপোর্ট সড়কে যানবাহনের প্রচন্ড চাপ দেখা দিয়েছে। এর প্রভাব ৩০০ ফিট সড়ক ও কুড়িলের দিকেও পড়েছে। তবে আশার কথা কিছুক্ষণ আগে এটি রাস্তার পাশে সরিয়ে রাখা হয়েছে। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও একটু সময় লাগতে পারে।
এদিকে সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন বহু সাধারণ মানুষ। ট্রাফিক আপডেট বিষয়ক দেশের সবচেয়ে বড় ফেসবুক গ্রুপ 'ট্রাফিক এলার্টে' একাধিক ব্যাক্তি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
অন্যদিকে, রাজধানীসহ দেশের সব বিভাগেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে আজও। এছাড়া দেশের ১১ অঞ্চলে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়ার আরেক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় দেশের সব বিভাগে আগামী কয়েক দিন ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারী ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।