দেশের অভ্যন্তরে ভারী বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আট জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে এবং বন্যা আরও বিস্তৃত হতে পারে। এসব জেলার ৭টি নদীর পানি বিদৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বুধবার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান।
কে এম আলী রেজা বলেন, ইতোমধ্যে বন্যা দুর্গত এলাকায় ত্রাণ কাজের জন্য নগদ ১ কোটি ৮৭ লাখ টাকা, ১৫ হাজার ৯শ’ মে. টন চাল ও ১৫ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনীর টিম ফেনীতে পৌঁছে গেছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে।
তিনি বলেন, বন্যা কবলিত জেলাগুলো হলো সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি।
তিনি বলেন, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘন্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।
কে এম আলী রেজা বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ঘন্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ কারণে ওই সব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।
আলী রেজা জানান, বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বন্যাকবলিত জেলার জেলা প্রশাসক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী টিম ফেনীতে পৌঁছে গেছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। ফেনী জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে এক হাজার ৬শ’ মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।