সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দনা সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক হয়েছেন আলোচিত-সমালোচিত সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। এসময় তাঁকে ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে আটক করা হয়। পরে তাকে বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়।
জানা যায়, বাংলাদেশ সীমান্ত পাড় হতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের মাধ্যমে ১৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেছিলেন আলোচিত এই সাবেক বিচারপতি। এরপর যাদের সঙ্গে চুক্তি করেছিলেন তারা তার সঙ্গে থাকা প্রায় ৭০ লাখ টাকা নিয়ে তাকে মারধর করে চলে যান। এরপর তিনি স্থানীয়দের কাছে আটক হন।
পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করে দনা সীমান্ত ফাঁড়ির ১৯ বিজিবির ক্যাম্পে নিয়ে যান। সেখানে বিজিবি ও স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদে সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ভারতে পালিয়ে যাওয়ার বর্ণনা দেন।
এদিকে বিচারপতি মানিক আটকের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। এর মধ্যে একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সাবেক বিচারপতি মানিক জঙ্গলের ভেতরে কয়েকটি কলাপাতা বিছিয়ে তার মধ্যে একপাশ ফিরে শুয়ে আছেন। তার পরনে গাঢ় নীল চেকের হাফ হাতা শার্ট আর ময়লা ভেজা প্যান্ট পরনে। পেটের কাছাকাছি সাদা রঙের টুপি উল্টো করে পড়ে আছে।
ভিডিওতে বিচারপতি মানিককে একজনের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। এ সময় তার সামনে অবস্থান করা একজনকে মানিক বলছেন, ‘আমি তোমাদের পয়সা দিয়ে দেব। পয়সা আমি দেব, আমার ভাই-বোন দেবে।
জবাবে এক ব্যক্তিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমাদের পয়সার প্রয়োজন নাই। আপনার সেফটি….। এরপরই মানিক বলেন, ‘ওই ফালতু লোক দুটাকে আনিও না। আমি এ দেশে এসেছি কি বাংলাদেশে ফেরত যাওয়ার জন্য’।
অপরদিকে বিচারপতি মানিককে আটকের পর আরেকটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, বিজিবি সদস্যরা তার পরিচয় জানতে চান। নিজের পরিচয় স্বীকার করে মানিক বলেন, ‘আমি বিচারপতি মানিক’।
দেশ ছেড়ে পালাচ্ছিলেন কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মানিক বলেন, ‘প্রশাসনের ভয়ে আমি দেশ ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেছি’।
সঙ্গে কী আছে জানতে চাইলে মানিক বলেন, গতকাল আমার কাছে অনেক টাকা ছিল। আমাকে মেরে ৬০-৭০ লাখ টাকা নিয়ে গেছে দুজন। এখন আমার সঙ্গে ব্রিটিশ পাসপোর্ট, বাংলা পাসপোর্ট আর কিছু টাকা আছে।
বিজিবি সদস্যদের এক প্রশ্নের জবাবে মানিক বলেন, আমি কোনো জুলুম করিনি।