মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। রবিবার (২৫ আগষ্ট) মুদ্রানীতি কমিটির সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নীতি সুদহার বিদ্যমান শতকরা ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ৫০ ভিত্তি পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। গত দুই বছর ধরে ক্রমাগত বাড়ছে নীতি সুদহার।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মো. হারুন-অর-রশিদ সই করা সার্কুলারে এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া ব্যাংকসমূহের তারল্য ব্যবস্থাপনা অধিকতর ক্ষমতার সাথে পরিচালন করার লক্ষ্যে নীতি সুদহার করিডোরের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং ল্যান্ডিং ফ্যাসিলিটির ক্ষেত্রে সুদহার ১০ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
নীতি সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি ৭ শতাংশ থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি করে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের এই সিদ্ধান্ত আগামী ২৭ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে।
মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে, সমাজে অর্থের সরবরাহ বেশি এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতির সূচক বাড়ছে, তাহলে অর্থপ্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে তারা। নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো, ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হবে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়, তার সুদহার বাড়ে। নীতি সুদহার বেশি থাকলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে নিরুৎসাহিত হয়।
উল্লেখ্য, গত জুন মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে বেড়ে ১৪ শতাংশ ছাড়ায়। যা গত ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।