অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দেশে ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনে দুই কর্মকর্তার নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে। এদের একজন রঞ্জন সেন, তিনি কলকাতায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটের সচিব ছিলেন। শনিবার তার নিয়োগ বাতিলের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ২০২৬ সাল পর্যন্ত রঞ্জন সেনের কাজের মেয়াদ থাকলেও তা শেষ হওয়ার আগেই তার পদ থেকে তাকে সরিয়ে নেয়া হলো। তাকে দ্রুত দেশে ফেরার নির্দেশও দেয়া হয়েছে। তবে রঞ্জনের ঢাকা ফেরার ক্ষেত্রে বেশ কিছুটা সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে। এর আগে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে প্রেস উইংয়ে মিনিস্টার পদে নিয়োগপ্রাপ্ত শাবান মাহমুদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়। শেখ হাসিনা পতনের পর ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনার মধ্যেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশে রাজনৈতিক উত্তেজনার কথা জানিয়ে এ মাসের শুরুতে ভারত ঢাকায় দেশটির হাইকমিশনে ‘অপ্রয়োজনীয়’ কর্মী এবং কূটনীতিকদের ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছিল।
ইন্ডিয়া টুডের খবরে বলা হয়েছে, শনিবার বরাখাস্ত হওয়া রঞ্জন সেন ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর প্রথমবার উপ-হাইকমিশনে যোগদান করেন। এর পর দুই দফায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ বৃদ্ধি করে তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার।
গত ১৩ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, শাবান মাহমুদের সঙ্গে সরকারের সম্পাদিত চুক্তিপত্রের অনুচ্ছেদ-৮ অনুযায়ী বাংলাদেশ হাইকমিশন, নয়াদিল্লি, ভারত মিশনের প্রেস উইংয়ের মিনিস্টার (প্রেস) পদে তার চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের অবশিষ্ট মেয়াদ বাতিল করা হলো। ২০২০ সালের ১৬ নভেম্বর শাবান মাহমুদকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় তৎকালীন শেখ হাসিনা সরকার। তার চাকরির মেয়াদ আরও দুই বছর বৃদ্ধি করে ২০২২ সালের ২ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে এই মেয়াদ শেষের আগেই তার চুক্তি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।