বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস টেকনোলজির (বিইউবিটি) শিক্ষার্থী আহসানুল হক দীপ্তর অবহেলায় মৃত্যুর অভিযোগে চিকিৎসকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটামও দিয়েছেন তারা। এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক পোস্টে সারজিস লেখেন, ‘আমার ডাক্তার ভাইদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের উপরে যে বা যারা হাত তুলেছে তাদের উপযুক্ত বিচার করতে হবে ৷ যদি কোনো পেশেন্টের মৃত্যুর জন্য হসপিটাল কর্তৃপক্ষ বা কোনো ডাক্তার দায়ী থাকে তবে তদন্ত সাপেক্ষে তারও বিচার হতে হবে ৷ কিন্তু আমার মনে হলো আর আমি কারো গায়ে হাত তুলে ফেললাম, এই স্পর্ধা কখনো মেনে নেয়া যায়না ৷ সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রজনতা সোচ্চার আছে ৷’
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কর্মবিরতি পালন করছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালটির জরুরি বিভাগ, বহির্বিভাগসহ সব ওয়ার্ড থেকে চিকিৎসা সেবা বন্ধ করে দিয়েছেন তারা। এতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগী ও তাদের স্বজনদের পোহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসকরা কজে যোগ দিলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যান তারা। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগে মেডিকেল অফিসাররা তাদের কক্ষ বন্ধ করে দেন, বন্ধ করে দেওয়া হয় জরুরি বিভাগের টিকিট কাউন্টার। এরপর থেকেই ঢাকা মেডিকেলের সামনে রোগী ও তাদের স্বজনদের জটলা বেধে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, আজ সকাল ৮টার পর থেকে জরুরি বিভাগসহ সব বিভাগের কর্মবিরতিতে সমর্থন জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।