দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত বৈঠকে অংশ নিতে আগামী অক্টোবরে ভারতে যেতে পারে বাংলাদেশের একটি উচ্চপদস্থ প্রতিনিধি দল। বিজিবি এবং বিএসএফ প্রধানদের মধ্যে ৫৫তম বৈঠক হতে যাচ্ছে এটি। তবে, দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অন্যান্যবারের তুলনায় বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের বৈঠকটি।
ভারতীয় সংবাদসংস্থা পিটিআইয়ের বরাতে এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মূলত বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি এবং ভারতের বিএসএফের মধ্যে বছরে দুইবার আলোচনা হয়ে থাকে। এতে নেতৃত্ব দেন বিজিবি এবং বিএসএফ প্রধান। এবারের বৈঠকটি বিজিবি এবং বিএসএফ প্রধানদের মধ্যে ৫৫ তম বৈঠক। দুই দেশের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং মাদক বিরোধী সংস্থা, কাস্টমসসহ বেশ কিছু সংস্থার প্রতিনিধিরাও অংশ নিয়ে থাকেন এ বৈঠকে।
পিটিআই বলছে, বৈঠকের জন্য ভারতের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে দুটি তারিখ প্রস্তাব করা হয়েছিল। একটি সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে; আরেকটি অক্টোবরে। এর মধ্যে বাংলাদেশ অক্টোবরে প্রতিনিধি পাঠানোর ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের মার্চে সীমান্ত সংক্রান্ত সবশেষ দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি হয়েছিল ঢাকায়। ওই বৈঠকে বাংলাদেশ-ভারতের চার হাজার কিলোমিটার বিস্তৃত সীমান্তের ৯২টি ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে এক সারির বেড়া তৈরিতে বাংলাদেশের সম্মতি আদায় করে নিয়েছিলেন বিএসএফের মহাপরিচালক নিতিন আগরাওয়াল।
তবে এবারের বৈঠকটি একটু অন্য পরিবেশের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। তখন থেকে বোন রেহানাসহ ভারতেই অবস্থান করছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে দেশটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই দেশের শীর্ষ পর্যায়ের এ বৈঠক। তাই স্বাভাবিকভাবেই ভিন্ন আকর্ষণ যোগ হয়েছে অনুষ্ঠিতব্য দ্বিপক্ষীয় সীমান্ত বৈঠকটিকে ঘিরে।