ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস ও সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদসহ ৬ প্রভাবশালীর কর ফাঁকি অনুসন্ধান শুরু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেলের (সিআইসি) চৌকস কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
সূত্র জানায়, প্রভাবশালী ৫ ব্যবসায়ীর সঙ্গে আরও ৬ প্রভাবশালী কর ফাঁকির অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। এরা হলেন-ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব হেলাল উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এসকে) সুর চৌধুরী ও সাংবাদিক দম্পতি শাকিল আহমেদ ও ফারজানা রুপা।
ইতোমধ্যে তাদের লেনদেনের তথ্য চেয়ে দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
অনুসন্ধানের আওতায় আসা ব্যক্তিদের জমি, বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাটসহ স্থাবর সব সম্পত্তির আয়কর নথি ও তাদের বাস্তব সম্পত্তির সরেজমিন তদন্ত করা হবে। সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে অর্ধশতাধিক ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে। এ তালিকায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ আছে। যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার, ব্যাংক লুট, অর্থ পাচার ও কর ফাঁকির অভিযোগ রয়েছে। এ তালিকা অনুমোদনের জন্য অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খানের কাছে পাঠানো হয়েছে। সবুজ সংকেত পেলেই ধাপে ধাপে ওই ব্যক্তিদের কর ফাঁকির অনুসন্ধান করা হবে।
প্রসঙ্গত, এর আগেও সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরীর কর ফাঁকির অনুসন্ধান করে সিআইসি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার (এসকে) সুর চৌধুরী ও তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী বিনিয়োগের তথ্য গোপন করে পৌনে দুই কোটি টাকা আয়কর ফাঁকি দিয়েছেন। কর ফাঁকি দিতে তারা মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করেন। মেয়ের অ্যাকাউন্টে তারা বিশাল অঙ্কের লেনদেন করেছেন। এছাড়া সুপর্ণার রয়েছে সাড়ে তিন কেজির বেশি স্বর্ণ। বিভিন্ন ব্যাংকে তার অ্যাকাউন্টে নগদ অর্থ ও অর্ধকোটি টাকার সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এত বিপুল অঙ্কের সঞ্চয়পত্র কিনলেও তার পুরোটা তিনি আয়কর রিটার্নে না দেখিয়ে কর ফাঁকি দিয়েছেন।