স্টাফ রিপোর্টার: সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন হাজার কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন- এই অভিযোগে তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালে করোনার টিকা, কিট, নকল মাস্ক বানিয়ে ও ভুয়া আমদানি দেখিয়ে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক হাজার কোটি টাকা।
এ ছাড়া সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিভিন্ন হাসপাতালের ক্রয়, নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট, ওষুধ সরবরাহসহ বিভিন্ন প্রকল্পের উন্নয়নমূলক কাজে ভাগ বসিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। দুদক ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটসহ (বিএফআইইউ) বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দোর্দ- দাপটের কাছে বাঘে-মোষে এক ঘাটে জল খেতো বলে অভিযোগ আছে। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের দুর্নীতির মহোৎসবের ঘটনা ছিল ওপেন সিক্রেট।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত দুই মেয়াদে জাহিদ মালেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আসিফ হোসেন তন্ময়। এই সময়ে নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইকুইপমেন্ট, নিজের লোককে টেন্ডার পেতে সহায়তা করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এছাড়া সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং তার ছেলের সব রকমের কমিশনের টাকা ভাগ বাটোয়ারা এই তন্ময়ের মাধ্যমেই হতো। মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হওয়ার পরে যেন আলাদিনের চেরাগ পেয়ে গেলেন। কিছুদিনের মধ্যেই শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে রোড নং ৮/এ তে ড্রিম মনোয়ারা অ্যাপার্টমেন্টে কিনেছেন আলিশান ফ্ল্যাট। যার বাজার মূল্য প্রায় ২ কোটি টাকা। রয়েছে একটি মিনি জিপ গাড়ি । যার বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। বিভিন্ন ব্যাংকে এফডিআর আছে কোটি কোটি টাকার যা অনুসন্ধানে বের হয়ে আসবে। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে আসিফ হোসেন তন্ময় এর মোবাইলে একাধিকবার কল দেয়া পরে তিনি বক্তব্য দিতে রাজি হন। পরবর্তী পর্বে আসিফ হোসেন তন্ময়ের বক্তব্যসহ ঢাকার মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে অঢেল সম্পদের বিবরণ তুলে ধরা হবে।
পর্ব: ০১