আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু লুকিয়ে আছেন সন্দেহে রাজধানীর বসুন্ধরায় একটি ভবন ঘেরাও করেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ৪ ঘণ্টা ভবনটি ঘেরাও করে রাখার পর তাকে না পেয়ে সেখানে ভাঙচুর করেছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাত ১২ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত রাজধানী বসুন্ধরার সি ব্লকের দুই নম্বর রোডের একটি ভবনের চারপাশে অবস্থান নেন একদল শিক্ষার্থী।একপর্যায়ে রাত দুইটার দিকে বাসার গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা। এ সময় আমির হোসেন আমুকে না পেয়ে শিক্ষার্থীরা ভবনের নিচ তলায় রিসিপশন ও অফিসে ভাঙচুর করেন।
প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস এলায়েন্স অফ বাংলাদেশ - পুসাব নামে এক ফেসবুকের পেজের পোস্ট থেকে এ তথ্য জানা যায়।
পুসাব নামের পেজটি ফেসবুকে জানিয়েছে, সি ব্লকের মাটি প্রপার্টিজে আওয়ামী লীগের আমির হোসেন আমু ও পিচ্চি শামীম (মাটি প্রপার্টিজের মালিক) লুকিয়ে আছেন তথ্যে শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিল্ডিংটি ঘেরাও করে (আনুমানিক ১২টার দিকে, উল্লেখ্য সি ব্লক এলাকা পুরোটাই শিক্ষার্থী অধ্যুষিত)। এসময় ভেতর থেকে আরেকটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়।
পোস্টে বলা হয়, এ পর্যায়ে সেনাবাহিনীকেও ডাকার কথা জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার পর শিক্ষার্থীরা সহযোগিতার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ করে আরও শিক্ষার্থী জড়ো করে। কিন্তু ভেতরে থাকা ব্যক্তিদের কাছে অস্ত্র আছে এমন তথ্যে তারা দীর্ঘসময় বিল্ডিংটির বসুন্ধরা অংশ ঘিরে রাখে। প্রায় ২ ঘণ্টা পর ভেতরে থাকা অপর পক্ষ পেছনের গেইট দিয়ে বেরিয়ে যায় এবং শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে বিল্ডিংটিতে প্রবেশ করে কাউকে না পেয়ে রিসিপশন ও অফিস ভাঙচুর চালিয়েছে।
আওয়ামী লীগ নেতা শামীমের এই বিল্ডিংটি বেশ বিতর্কিত ও অপরাধের আতুরঘর। বিল্ডিংটির কুড়িল ও বসুন্ধরা উভয়পাশে গেইট থাকায় পালিয়ে যাওয়া সহজ বলে পুসাব নামের ফেসবুক পেজটি পোস্টে উল্লেখ করেছে।
এর আগে ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র ঝালকাঠি-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমির হোসেন আমুর বিরুদ্ধে ঝালকাঠিতে অস্ত্র, বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে নালিশি মামলা হয়েছে।
এই প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে ব্যাংক হিসাব জব্দেরও নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। একইসঙ্গে আমুর সন্তান এবং তাদের মালিকানাধীন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের লেনদেন স্থগিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তাদের ব্যক্তিগত ও ব্যবসায়িক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সব লেনদেন বন্ধ থাকবে। আগামী ৩০ দিন এসব হিসাবে কোনো ধরনের লেনদেন করতে পরবে না।