এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, অনলাইনে ই-রিটার্ন দেওয়ার সময় সঙ্গে বাড়তি নথি অ্যাটাস্টমেন্ট করা লাগবে না। শুধু দলিলের তথ্য দিলেই হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন ।
তিনি বলেন, সনাতনী পদ্ধতিতে চাকরিজীবীদের আয়, তথা বেতন-ভাতার প্রমাণপত্র হিসেবে ব্যাংক হিসাবের ৩০ জুন পর্যন্ত এক বছরের লেনদেন বিবরণী (স্টেটমেন্ট) জমা দিতে হয়। অনলাইনে ই-রিটার্ন জমার সময় শুধু ব্যাংক হিসাবের স্থিতি, সুদের তথ্য ও ব্যাংক হিসাবের নম্বরসহ বিভিন্ন তথ্য দিলেই হবে। তিনি আরও বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের শতভাগ কর্মী অনলাইনে রিটার্ন দেবেন, সেগুলোর জন্য সম্মাননার ব্যবস্থা করবো।
চলতি ২০২৪-২৫ করবর্ষের রিটার্ন দাখিল পদ্ধতি সহজ করার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের অনলাইন রিটার্ন দাখিল সিস্টেম গত ৯ সেপ্টেম্বর করদাতাদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ইতোমধ্যে অনলাইনে আয়করের ই-রিটার্ন জমার সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। সরকার আশা করছে, চলতি অর্থবছরে মোট ১৫ লাখ করদাতা অনলাইনে আয়কর নথি বা রিটার্ন জমা দেবেন।
অনলাইনে রিটার্ন তৈরি ও জমা দেওয়া যাচ্ছে। আবার এ সিস্টেম থেকে ইন্টারনেট ব্যাংকিং, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে করদাতারা কর পরিশোধ করতে পারছেন। এছাড়া দাখিল করা রিটার্নের কপি, প্রাপ্তি স্বীকারপত্র, আয়কর সনদ, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ডাউনলোড ও প্রিন্ট করা যাচ্ছে।
চার সিটি করপোরেশন এলাকাভুক্ত সরকারি কর্মচারীসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের আয়কর অনলাইন ব্যবহার করে ই-রিটার্ন দেওয়া সম্পর্কিত নির্দেশনা সম্পর্কে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, বেসরকারি খাতের এসব কর্মকর্তা সব সময় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কাজ করেন। তাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল তুলনামূলক সহজ। তবে যারা ইতোমধ্যে সনাতনী পদ্ধতিতে রিটার্ন দিয়ে ফেলেছেন, তারা আগামী বছর থেকে অনলাইনে রিটার্ন দেবেন। অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে করদাতাদের সঙ্গে কর কর্মকর্তাদের দেখা-সাক্ষাৎ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এভাবে ধীরে ধীরে সব খাতের করদাতাদের জন্য অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করবো।