গোপালগঞ্জের সাবেক ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে শেখ হাসিনার একটি ফোন রেকর্ড ফাঁস হয়েছে। ইউটিউবে প্রকাশ হওয়া ফোনালাপে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘যারা বাড়াবাড়ি করছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’
সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের সঙ্গে ফাঁস হওয়া ফোনালাপে সবাইকে তৈরি হওয়ার আহ্বান জানান হাসিনা।
এ সময় হাসিনাকে মাথা ঠান্ডার রাখার পরামর্শ দেন ওই নেতা। ফোনালাপে হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, ‘এখন ভয়ের কিছু নেই। রুখে দাঁড়াতে হবে।’
দেশকে অস্থিতিশীল করতে জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নি-সংযোগের মাধ্যমে নাশকতা করতে নেতাকর্মীদের শিখিয়ে দেন শেখ হাসিনা। এ সময় মামলা নিয়েও কথা বলেন আওয়ামী লীগের নেত্রী।
‘এবার আসতে পারলে, সব আবর্জনা শিকড়সহ উপড়ে ফেলা’রও হুমকি দেন পলাতক সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এ ছাড়া খুব দ্রুতই দেশে আসার কথাও জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটি হতে পারে ডিসেম্বরেই।’
এসময় ওই ছাত্রলীগ নেতাকে বলতে শোনা যায়, ‘নেত্রী আপনার কথায় আমরা ভরসা রাখছি।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘সবাইকে সবকিছু বলো না, আমি যদি আসতে পারি তখন দেখা যাবে।’
ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘মানুষ এখন ভয়ে মুখ খুলছেনা।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওদেরকে অভয় দিতে হবে, তোমরা প্রস্তুতি নেও।’
শঙ্কা প্রকাশ করে ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘মাননীয় নেত্রী একটি শঙ্কা হলো, গোবিন্দগঞ্জের কোনো নেতানেত্রীর বাড়ি-ঘরে কোনো হামলা হয়নি, তাদের নামে একটি মামলাও হয়নি।’
এর জবাবে শেখ হাসিনা বলছেন, ‘শোন, ওরা যেগুলো পটেনশিয়াল ও তাদের বিরুদ্ধ নেবে তাদের উপর হামলা করেছে।’ ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘জ্বি নেত্রী, আপনার সাথে কথা বলে বুকটা ভরে গেলো। আপনি ভালো থাকবেন।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, সারা বাংলাদেশের আমার নামে ২২৭টি কেস। তোমরা আমাকে সহযোগিতা কর। এক মামলায় যে শাস্তি সবগুলো মামলায় সেই শাস্তি। এবার আসতে পারলে করবো সংস্কার, সমাজের এসব আবর্জনা শেকড় থেকে পরিষ্কার করা হবে।’
শেষে ওই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘আমরা জীবন দিবো, আপনাকে বাংলাদেশে নিয়ে আসবো। আমাদের সকলের জীবন যাক তাও আপনার পাশে থাকবো।’ শেখ হাসিনা বলছেন, ‘আমি তোমাদের কাছেই আছি, কাজ করো। আমি অচিরে আসবো।’