ছিলেন কলেজ শিক্ষক, চালাতেন ৫০ সিসি মোটরবাইক। আওয়ামী রাজনীতির স্পর্শে পাল্টে যায় সাদাসিদে শিক্ষকের জীবন। চা বাগান, ফিশারী, মার্কেট, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, কী নেই তার। আছে কমলগঞ্জ, শ্রীমঙ্গল, ঢাকা ও কানাডায় বাড়ি। ফ্যাসিস্ট আমলে তার জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে বিস্মিত হলেও মুখ খুলতে পারতো না এলাকাবাসী।
আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইলিয়াছ মারা যাওয়ার পর ১৯৯১ সালের নির্বাচনে দলের প্রথম মনোনয়ন পান উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ। এরপর টানা সাতবার সংসদ সদস্য হন তিনি। একবার বিরোধী দলীয় ও একবার সরকার দলীয় হুইপ। এরপর চিফ হুইপ এবং সবশেষ কৃষিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান আব্দুস শহীদ।
ফ্যাসিস্ট সরকারের ক্ষমতার অংশীজন হিসেবে দিনে দিনে ফুলেফেঁপে ওঠে তার সম্পদের পরিমাণ। নির্বাচনে হলফনামার তথ্য অনুযায়ী গত দশ বছরে তার সম্পত্তি বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।
শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে আব্দুস শহীদের রয়েছে দুটি চা-বাগান। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই চা-বাগানের বেশকিছু অংশ বন বিভাগের জায়গা। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন তার কেয়ারটেকার।
আছে ফিসারী, পেট্রোল পাম্প, বহুতল মার্কেট, একাধিক বাড়ি, গাড়ি ও ইনস্যুরেন্সসহ নামে-বেনামে অনেক প্রতিষ্ঠান।
সাতবার সংসদ সদস্য হলেও এলাকার উন্নয়নে নেই কোনো অবদান। ভিন্নমত দমনেও ছিলেন নিষ্ঠুর। আওয়ামী লীগ না করায় আব্দুল গফুর চৌধুরী মহিলা কলেজের প্রতিষ্ঠাতাকে সরিয়ে তার ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে আব্দুস শহীদের বিরুদ্ধে।
ক্ষমতাবান সাবেক এই কৃষিমন্ত্রীর গ্রেফতারে আনন্দ মিছিল হয়েছে। তদন্ত করে অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন এলাকাবাসী।