অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানান ধরনের গল্প ঘুরছে। কেউ কেউ তাকে নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সদস্য বলে পোস্ট করেছেন ফেসবুকে। এবার সে বিষয়ে জানাল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব প্রতিরোধে চালু হওয়া প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকিং পেজ।
মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরী বা অন্য কোনও নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থি গোষ্ঠীর সদস্য নন বলে জানিয়েছে প্রেস উইংয়ের ফ্যাক্ট চেকিং পেজ। আজ সোমবার এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রেস উইংয়ের পোস্টে বলা হয়, ‘প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করে ফেসবুকে বেশকিছু পোস্ট দেওয়া হয়েছে। এতে ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট রয়েছে, যেখানে আবদুল্লাহ আল মাহফুজ নামে এক ব্যক্তিকে হিযবুত তাহরীরের সদস্য হিসেবে দাবি করা হয়েছে।
অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাহফুজ ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলম দুজন ভিন্ন ব্যক্তি। দৈনিক আজকের পত্রিকার ফ্যাক্ট-চেকিং ইউনিট গতকাল তাদের এক প্রতিবেদনে বিষয়টি পরিষ্কার করেছে (প্রতিবেদনটি কমেন্টে দেওয়া হলো)।
শেখ হাসিনার স্বৈরাচারী সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী শিক্ষার্থী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন মাহফুজ আলম। তিনি কখনোই হিজবুত-তাহরীর বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ বা ইসলামপন্থী গোষ্ঠীর সদস্য ছিলেন না বলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মাদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহফুজ আলম। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাকে ঘিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন সময়ে চালানো হয়েছে নানা প্রচারণা। এ প্রচারণায় যুক্ত হয়েছে ভারতীয় বিভিন্ন মিডিয়াও। এসব প্রচারণার অন্যতম হচ্ছে, মাহফুজ আলম ইসলামি বা উগ্রপন্থী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, বিশেষ করে হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে। সম্প্রতি একই প্রসঙ্গে তিনি আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনায় এসেছেন।
ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের ২০১৯ সালের একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট ফেসবুকে ছড়িয়ে দাবি করা হচ্ছে, ‘হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২০১৯ সালের নভেম্বরে চট্টগ্রামে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের হাতে গ্রেপ্তার হন মাহফুজ। তিনিই আজকের প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী এবং কথিত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নামে সরকার পতনের মাস্টারমাইন্ড।’