‘আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড’ বলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে প্রি-প্ল্যানড হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে- বলে মন্তব্য করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য ডা. জাহেদ-উর রহমান।
তিনি বলছেন, ‘ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন পক্ষের বিভিন্ন রকম ইন্টারেস্ট তৈরি হয়েছে। আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড বলে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থানকে প্রি-প্ল্যানড হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। যা নিয়ে ভারত বিশেষভাবে জনগণের অভ্যুত্থানকে প্রি-প্ল্যানড বলে প্রচারের চেষ্টা চালিয়ে তাকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করছে। সামনে এ ধরনের প্রচেষ্টা আরও বাড়বে তার জন্য জাতীয় ঐক্য সংহত করা দরকার।’
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কনফারেন্স রুমে ‘অভ্যুত্থান-পরবর্তী জাতীয় ঐক্যের হাল-হকিকত’ এক অলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় আরও অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি সৈকত আরিফ।
তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের পর থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কতিপয় সমন্বয়ক অভ্যুত্থানের রাজনৈতিক শক্তিকে অপমানের মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। অভ্যুত্থানের পর একটি জাতীয় সরকার গঠনের উদ্যোগ নেওয়ার দরকার থাকলেও আমরা সে ধরনের উদ্যোগ নিতে দেখিনি, এমনকি অভ্যুত্থানের ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও অভ্যুত্থানের সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ আমরা দেখিনি’।
সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে একটি বৈঠকের পর আর কোনও বৈঠক করেনি উল্লেখ করে তিনি জানান, অভ্যুত্থানের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে কখনোই কোনও রাজনৈতিক উদ্যোগ গড়ে উঠবে না বলে একধরনের কমিটমেন্ট ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দল গঠনের উদ্যোগে জড়িত থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সঙ্গে তারা কেন যৌথ কর্মসূচি গ্রহণ করলো, তা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়।