সমাপনী বক্তব্যে ঢাকার রাজপথে লাখো জনতার মিছিলকে স্বাধীনতা ও নিজেদের অধিকার রক্ষার মিছিল বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তারেক রহমান বলেন, ‘লাখো জনতার এই মিছিল ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আহত অসংখ্য ছাত্র জনতা আর হাজার হাজার শহীদের স্বপ্ন একটি বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ী মিছিল। রাজপথে লাখো জনতার এই মিছিল বাংলাদেশের স্বার্থরক্ষার মিছিল। নিজের অধিকার রক্ষার মিছিল। নিজের ভোট প্রয়োগের অধিকার প্রতিষ্ঠার মিছিল ’
ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, জ্যেষ্ঠ নেতা, মহানগর নেতা এবং সব অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আগে বিএনপি নেতাকর্মীদের আশপাশের বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেয়। এর আগে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে রঙিন টিশার্ট পরে, প্ল্যাকার্ড হাতে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।
ঢাকা মহানগর উত্তরের জনপ্রিয় নেতা; জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব মোঃ জাবেদ খান ছিলেন র্যালির একাংশের নেতৃত্বে। তিনি বলেন ‘স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদীরা এই দলটিকে নিশ্চিহ্ন করতে চেয়েছিলো। দেখুন সব নির্যাতন ও বঞ্চনার পরও দেশকে ভালবেসে আমরা মাথানত করিনি। আমরা ফিরে এসেছি আরও নতুনভাবে; আরও শক্তিশারী হয়ে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশ বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক এবং মানবিক এক বাংলাদেশ গড়ার। আমারা সবাই সেটাই চাই। আমি ও আমাদের সিনিয়র নেতারা সেই লক্ষ্যে কাজ করছে’
সমাবেশস্থলে যোগ দিতে আসা বিএনপি নেতা মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপি তৃণমূল পর্যায় থেকে কতটা শক্তিশালী তার প্রমাণ এই র্যালি। ১৭-১৮ বছর দেশটিকে লুটপাট করা হয়েছে। এর অবসাই এখন আমাদের লক্ষ্য।’
এরআগে কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত শোভাযাত্রার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করে বিএনপি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা ৩টায় ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা কোরআন তেলাওয়াত করেন।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা করে দোয়া করা হয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, তার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর নাজাত কামনা করে দোয়া করা হয়। নয়াপল্টন থেকে শুরু হয়ে শোভাযাত্রাটি কাকরাইল মোড়, মৎস্য ভবন মোড়, ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট, শাহবাগ মোড়, হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, বাংলা মোটর মোড়, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট হয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে গিয়ে শেষ হয়।