বাংলাদেশি পণ্যের জিএসপি সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে ইতিবাচক যুক্তরাষ্ট্র। ইতোমধ্যেই দেশটির সাথে এ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা। যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি ফিরে পেলে রপ্তানি আয়ে বড় উল্লম্ফনের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, এসব বিবেচনায় চলতি অর্থবছরের রপ্তানি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৪০ শতাংশ।
ক্ষমতাচ্যুত হাসিনা সরকারের সাথে মার্কিন প্রশাসনের সম্পর্ক ভালো ছিল না। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে রপ্তানি-বাণিজ্যে। ২০১৩ সালে দেশটি বাতিল করে বাংলাদেশি পণ্যের অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা-জিএসপি।
তবে জিএসপি বাতিল করেই থেমে থাকেনি যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশের মানুষের গণতন্ত্রের আকাঙ্খার প্রতি সমর্থন দিয়ে নানাভাবে চাপ তৈরি করে বিদায়ী হাসিনা সরকারের ওপর। আমদানি কমিয়ে দেয় তৈরি পোশাকের।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি পোশাকের রপ্তানি প্রায় ২৫ শতাংশ কমে নেমে যায় ৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারে।
তবে হাসিনার পতনের জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করেছে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার। বিষয়টি নিয়ে দেশটি ইতিবাচক বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।
ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘জিএসপির ব্যাপারে আমেরিকান এম্বেসেডরের সঙ্গে কথা হয়েছে। জিএসপির বিষয়ে তাদের কিছু কোয়্যারি রয়েছে, সেগুলো নিয়ে ইতিমধ্যে আমরা উত্তর দিয়েছি। জিএসপির ব্যাপারে শুধু গার্মেন্টস নয় অন্যান্য ইস্যু রয়েছে।”
যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য রপ্তানি রপ্তানিতে বাংলাদেশকে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। জিএসপি ফিরে পেলে এই শুল্ক লাগবে না।
এদিকে, তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয়, প্রথমে চীন, তৃতীয় ভিয়েতনাম।