আলমডাঙ্গায় পুকুরে ঝাপ দিয়ে শিশু আবরার আহমেদের জীবন বাঁচালো পুলিশ সদস্য নয়ন আলী। বুধবার ৫ জুন সন্ধ্যার আগে আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের পিছনের পুকুরে বোনের সাথে পা ভেজাতে গিয়ে শিশুটি পানিতে পড়ে যায়। এসময় তার বোনের চিৎকারে পাশেই ডিউটিরত পুলিশ সদস্য ছুটে এসে পানিতে ঝাপ দিয়ে তাকে উদ্ধার করে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবা-মায়ের কাছে তুলে দেওয়া হয়েছে।
শিশু আবরার আহমেদ(৫) পৌর এলাকার বাবুপাড়ার সুলতান আহমেদের ছেলে। ঘটনার দিন বিকেলে আবরার তার বোন রিফার সাথে খেলতে বের হয়।
পানি থেকে শিশুকে উদ্ধারকারী পুলিশ সদস্য আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত কন্সেটেবল নয়ন আলী ।
জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌর পশুহাট অনেক বড়। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে গরু ক্রয় করতে আসে। ঈদুল আজহাকে সামনে আলমডাঙ্গা পশুহাটে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের অনেক লোকের সমাগম হয়। সেজন্য আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গনি মিয়া আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বেশ কয়েকটি দলে বিভক্তি করে পশুহাটে পুলিশের চেকপোষ্ট বসিয়েছেন। আলমডাঙ্গা মহিলা ডিগ্রী কলেজের পাশে এএসআই আতিকুর রহমান ও পুলিশ সদস্য নয়ন আলী ডিউটি করছিলেন। বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বোন রিফার সাথে আবরার মহিলা কলেজের পিছনের পুরে পা ভেজাতে আসে। এসময় আবরার পুকুর পানিতে পড়ে যায়। রিফার চিৎকারে পুলিশ সদস্য নয়ন আলী ছুটে আসে। দেখতে পায় আবরার পুকুরের পানিতে ডুবে যাচ্ছে। কোন উপায় না পেয়ে পুলিশ সদস্য নয়ন আলী পুকুরের পানিতে ঝাপ দিয়ে আবরার আহমেদকে উদ্ধার করে। তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেয়।
আবরার পিতা সুলতান আহমেদ জানান, পুলিশ সদস্য নয়ন আলী ভাই না থাকলে আমার ছেলেকে বাঁচাতে পারতাম না। তিনি পোশাক পড়া অবস্থায় পানিতে লাফ দিয়ে আমার ছেলেকে উদ্ধার করেছে।
পুলিশ সদস্য নয়ন আলী জানান, মহিলা কলেছের পিছনের যাত্রী ছাউনির নিকট স্যারের সাথে ডিউটি করছিলাম। এরই মধ্যে কানে চিৎকারের আওয়াজ আসলো আমার ভাই ডুবে গেলো। তাকিয়ে দেখি একটি শিশু পুকুরের পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে। কোন কিছু না ভেবে পানিতে লাফ দিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে তার মায়ে কোলে তুলে দিয়েছি।