ঢাকা
৭ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
দুপুর ১:৫৫
logo
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪
প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

লক্ষ্মীপুরে ভারী বর্ষণ, ফের বন্যার শঙ্কা

মাসুদুর রহমান খান,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরে ভারী বর্ষণ চলছে।গত শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিপাত শনিবার ও অব্যাহত রয়েছে।এতে বিভিন্ন স্থানে আবারও পানির নিচে তলিয়ে গেছে। ফলে ফের বন্যার আশঙ্কা করছে জেলাবাসী।

জেলার রামগতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া অবজারভার সোহরাব হোসেন শনিবার  দুপুরে বলেন, শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ৩৬ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে।

তিনি জানান, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ সৃষ্টি হওয়ায় ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত চলছে।মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে৷ 

স্থানীয় লোকজন জানায়, যেসব এলাকা বন্যার পানির নিচে তলিয়ে ছিল, গত কয়েকদিন ধরে ওইসব এলাকার পানি নামতে শুরু করে। কোনো কোনো এলাকা থেকে পানি নেমেও যায়। তবে শুক্র ও শনিবার ভারী বৃষ্টিতে আবারও কোথাও কোথাও পানি উঠে গেছে। তলিয়ে গেছে চলাচলের রাস্তা। যেসব এলাকা এখনও পানির নিচে, সেখানে পানির উচ্চতা আবারও বেড়েছে। খালে নানা প্রতিবন্ধকতা থাকায় ঠিকমতো পানি নামতে পারছে না।স্থানীয়দের আশঙ্কা, এভাবে বৃষ্টিপাত চলতে থাকলে আবারও বন্যার কবলে পড়বে লক্ষ্মীপুরবাসী।তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টির গতি বাড়ছে, আবার কমছে। বৃষ্টিতে বাড়ছে বন্যার পানিও। চরম দুর্ভোগে পড়েছে জেলার বন্যাকবলিত অঞ্চলগুলোর মানুষ। যদি এই ভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকে, তাহলে বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে আরও কয়েকগুণ। এছাড়া আমনের বীজতলা নষ্ট হওয়ার কারণে কয়েক হাজার হেক্টর জমি আবাদ না হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।

জেলার রামগতি আবহাওয়া সতর্কীকরণ কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. সৌরভ হোসেন বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের ফলে মেঘনা উত্তাল রয়েছে। পানি বাড়ছে। এ ছাড়া মেঘনায় মাছধরার ট্রলার ও নৌকা এবং জেলেদের পরবর্তী নির্দেশ দেওয়া না পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতভর বৃষ্টির কারণে বন্যার পানি কিছুটা বাড়ছে। এখনো জেলার ২০ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ১০ ওয়ার্ডের প্রায় ৩ লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। দুর্ভোগের শেষ নেই। তবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলেও বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাহিদ উজ জামান খান বলেন, নদীতে পানি বাড়লেও এখনো বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। জোয়ার এলে পানি বাড়ে। আবার ভাটা পড়লে পানি কমে যায়। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। যেসব জায়গায় এখনো পানিবন্দী মানুষ রয়েছেন ওইসব এলাকার খালগুলো দিয়ে দ্রুত পানি সরানোর কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে মেঘনায় পানি বাড়ায় ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে।

logo
প্রকাশকঃ অধ্যাপক ড. জোবায়ের আলম
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকঃ তাপস রায় সরকার
মোবাইল: +৮৮০ ১৭৩৬ ৭৮৬৯১৫
কার্যালয় : বিটিটিসি বিল্ডিং (লেভেল:০৩), ২৭০/বি, তেজগাঁও (আই/এ), ঢাকা-১২০৮
মোবাইল: +880 2-8878026, +880 1736 786915, +880 1300 126 624
ইমেইল: tbtbangla@gmail.com (online), ads@thebangladeshtoday.com (adv) newsbangla@thebangladeshtoday.com (Print)
বাংলাদেশ টুডে কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত। অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি ও বিষয়বস্তু অন্য কোথাও প্রকাশ করা বে-আইনী।
Copyright © 2024 The Bangladesh Today. All Rights Reserved.
Host by
linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram