শরণখোলা (বাগেরহাট) সংবাদদাতা: স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ঘূর্ণীঝড় রিমেলে বিধ্বস্ত ( বিপর্যস্ত) হওয়া সুন্দরবনের প্রাণপ্রকৃতি। রিমেলের প্রবল ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের হাত থেকে বেঁচে যাওয়া চিত্রল হরিন,শুকর ও সাপের দেখা মিলছে বনের বিভিন্ন এলাকায়। দুবলা, কটকা ও শ্যালা ফরেষ্ট অফিস এলাকায় আগের মত নদী ও খালের চরে খাবার খেতে বের হচ্ছে হরিণ ও শুকরের পাল। ভেঙ্গে যাওয়া অনেক গাছ-পালায়ও নতুন করে দেখা দিয়েছে অঙ্কুর।
তবে ঘূর্ণীঝড়ে সব চেয়ে বেশী প্রানহানি হওয়া কটকায় হরিণের সংখ্যা আগের তুলনায় অনেকটাই কম দেখা যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বনরক্ষিরা ।
পূর্ব সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের কটকা অভয়ারন্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুরজিত চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, গত ২৫ শুরু হওয়া ঘূর্ণীঝড় রিমেলের আঘাতে সাগর তীরবর্তি সুন্দরবনের অনেকাংশ লন্ড-ভন্ড হয়ে যায়। প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছাসে সুন্দরবনের অসংখ্য হরিণও শুকরের মৃত্যূ হয়। বনবিভাগ প্রায় শতাধিক মৃত হরিণ ও শুকর উদ্ধার করে বনে মাটি চাপা দেয়। সাগরেও ভেসে যায় অনেক মৃত হরিণ। লোকালয় থেকেও উদ্ধার হয়েছে অনেক মৃত হরিণ। ২০ টি জীবিত হরিণ উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বনে ছেড়ে দেয়া হয় তখন।অসংখ্য গাছ-পালা ভেঙ্গে ও উপড়ে যায়।
সুন্দরবন সহ-ব্যাবস্থাপনা কমিটির (সিএমসি) শরণখোলা শাখার সহ-সভাপতি এম ওয়াদুদ আকন বলেন, ভবিষ্যতে জড়-জলোচ্ছাসের হাত থেকে সুন্দরবনের বন্যপ্রানীদের রক্ষার ক্ষেত্রে আরও অধিক সংখ্যক উচু মাটির কিল্লা স্থাপণ করতে হবে।
সুন্দরবন খুলনা বিভাগের সিএফ মিহির কুমার দো জানান, গতপ্রায় দেড় মাস আগে ঘটে যাওয়া দূর্যোগের পর আবারও স্বাভাবিক হতে শুরুকরেছে সুন্দরবনের পরিবেশ। হরিণ সহ অন্যান্য প্রাণীদের আগের মত বনের নদী-খালের কিনারায় ও সাগর সৈকতে অবস্থান করতে দেখা যাচ্ছে ।