সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা অর্ধ কোটি টাকার ২৬টি বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেড আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী।
রোববার (১৪ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন করচার হাওর থেকে এসব বাল্কহেড আটক করে। পরে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে দুপুরে সদর থানার পুলিশ এসব বাল্কহেড জব্দ করে। তবে এ ঘটনায় কতজনকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে রাতের আধারে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু-পাথর উত্তোলন করা হয়। এসব বালু-পাথর, নদী ও হাওর পথে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। রোববার সকালে করচার হাওরপাড়ের নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন তাদের গ্রামের পাশের হাওরে ২৬টি বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেড আটক করে সদর উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দুজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) ও পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে বাল্কহেডগুলো জব্দ করে। ২৬টি বাল্কহেডের মধ্যে ২৩টিতে বালু ও ২টি পাথরবোঝাই রয়েছে। জব্দ করা বালু-পাথরের মূল্য অর্ধ কোটি টাকার বেশি।
সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই পার্ডন সিংহ বলেন, ‘খবর পেয়ে করচার হাওর থেকে ২৬টি বালু ও পাথরবোঝাই বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। কোনো বাল্কহেডের মাঝি বা লোকজন বালু-পাথরের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।’
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান বলেন, ‘গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া বালু-পাথরবোঝাই ২৬টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। হাওর থেকে এগুলো উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হচ্ছে। জব্দ করা বাল্কহেড ও সঙ্গে থাকা লোকজনের বিষয়ে নৌপুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’