সোহানুর রহমান, দীঘিনালা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি: অতি ভারী বর্ষণে পাহাড়ি ঢলে মাইনি নদীতে পানি বাড়ায় সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলে জেলার মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়ন ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন অংশ ডুবে যাওয়ায় লংগদু ও সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়াটার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, ‘বিকেল থেকে মাইনি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে আছে। এর মধ্যে মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় লংগদু সাথে খাগড়াছড়িসহ সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। চলতি বছরে তিন দফা বন্যায় আমার ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।’
এছাড়া খাগড়াছড়ি-সাজেক সড়কের কবাখালি ও বাঘাইহাটের কাচালং এলাকায় সড়ক ও সেতু ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটিরর সাজেকের সাথে খাগড়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।’
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা বলেন, পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যর সৃষ্টি হয়েছে। সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করছি।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ মামুনুর রশীদ বলেন, গত দুইমাসে অতিবৃষ্টির কারণে দীঘিনালা উপজেলার কবাখালী ও মেরুং ইউনিয়নের প্রায় ২৫টি গ্রাম প্লাবিত রয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্র খুলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান করা পরিবারগুলোকে শুকনা খাবার ও রান্না করা খাবার প্রদান করা হচ্ছে।’