আবদুল জলিল, কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: প্রয়োজনীয় অর্থের অভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার তেকানী ইউনিয়নের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ। আর এতে করে চরম ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে তেকানী ইউনিয়নের ১০ গ্রাম সহ ভাটিতে অবস্থিত সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার মেছড়া ইউনিয়নের ৬ টি গ্রামের মানুষজন। বাঁধ নির্মাণ না হলে এসব এলাকার শত শত বাড়িঘর আবাদি জমি যমুনার ভাঙ্গনের কবলে পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার মানুষজন।
স্থানীয় লোকজন জানান, গত বছর তেকানি ইউনিয়নের হাড্ডির ঘাট এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দেয়। বেশকিছু ঘরবাড়ি যমুনাগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। তখনই স্থানীয় সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় ভাঙন রক্ষায় যমুনার একটি শাখায় বাঁধ দেবার পরিকল্পনা নেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে সাবেক এমপির উন্নয়ন তহবিল হতে এই বাঁধ নির্মাণ কাজের শুরু হয়। দুই কিলোমিটার লম্বা এই বাঁধটির ১ কিঃ মিঃ পরিমাণ লিংক রোডের নির্মাণ কাজ এখনো বাকি রয়েছে।
সোমবার সরেজমিন গেলে এলাকার মানুষ এই বাঁধ নির্মাণ নিয়ে গভীর হতাশার কথা জানিয়েছেন। বাঁধ নির্মাণের সার্বিক দায়িত্বে থাকা আব্দুস ছালাম বিএসসি জানান, বাঁধের কাজের জন্য এ যাবৎ পাওয়া গেছে মোট ৭৬ লক্ষ টাকা। এর বাইরে সংসদ সদস্যের মৌখিক আশ্বাসে স্থানীয় লোকজনের নিকট থেকে ধারদেনা করে প্রায় ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
আব্দুস ছালাম বিএসসি আরও জানান, বাঁধের মুল ভুখন্ড সংলগ্ন উত্তরে পাকা রাস্তা পর্যন্ত ১ কিঃ মিঃ লিংকরোড তৈরি করা জরুরী। না হলে উজান দিয়ে পানি প্রবেশ করলে বাঁধটি চরম ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়বে। এদিকে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বাঁধের বাকি অংশের নির্মাণ কাজ অদৌ সম্ভব হবে কিনা তা নিয়ে মানুষের মাঝে সংশয় দেখা দিয়েছে।
তেকানী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, এলাকার বিশাল জনপদকে রক্ষায় বাঁধটি নির্মাণ অতীব জরুরী। বাঁধ নির্মাণে আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।