হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালী-৬ (হাতিয়া) আসনের সাবেক দুই সংসদ সদস্য দম্পতি মোহাম্মদ আলী ও আয়েশা ফেরদৌস, বড় ছেলে উপজেলা চেয়ারম্যন আশিক আলী অমি এবং তাঁদের পরিবারের ৫ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮৭ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় মামলা হয়েছে।
অনধিকার প্রবেশ করে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে গুরুতর জখম ও বিভিন্ন ক্ষতিসাধনে সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলীকে আসামী করে ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে তমরোদ্দি ক্ষিরোদিয়া এলাকার মোঃ নূরনবী ওরপে নবীর (৪২) বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় একটি দায়ের করে।
এর আগে সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে হাতিয়া পৌরসভার চরকৈলাস গ্রামের আব্দুল করিম (৪৭) বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী সহ ১৪৩ জনের বিরুদ্ধে হাতিয়া থানায় একটি মামলা করেন। মামলাটির এজাহারে বাদী আবদুল করিম উল্লেখ করেছেন, ৮ আগস্ট বিকেলের দিকে শেখ হাসিনা সরকারের পতন ও অন্তর্বর্তী সরকার গঠনকে স্বাগত জানিয়ে মিছিল বের করে চরকৈলাস গ্রামের ওছখালী-সাগরিয়া সড়কের এমপির পোলের কাছাকাছি পৌঁছালে সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী, তাঁর স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস, ভাই মাহবুব মোর্শেদ ও ছেলে আশিক আলীর নির্দেশে মিছিলটিতে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।
মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার ওসি জিসান আহমদ জানান, কারাগারে প্রেরণকৃত মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদৌস ও ছেলে আশিক আলী অমিকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
ঘটনা এবং মামলা সমূহ সাজানো, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এমপি পরিবারকে রাজনৈতিক ও সামাজিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা ছাড়া আর কিছু নয় বলে জানান সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলীর ভাই মাহবুব মোর্শেদ লিটন।
প্রসঙ্গত, গত ১০ আগস্ট দিবাগত রাত ৩টার দিকে হাতিয়া উপজেলার বাসভবন থেকে এমপি মোহাম্মদ আলী, তার স্ত্রী সাবেক এমপি আয়েশা ফেরদৌস ও তাদের বড় ছেলে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক আলী অমি কে নৌবাহিনী হেফাজতে নেয়।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকালে তাদেরকে পুলিশ ও নৌবাহিনীর একটি বিশেষ দল হাতিয়া থেকে জেলা সদরে নিয়ে আসেন। পরে তাদের সেনাবাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তায় সুধারাম মডেল থানায় রাখা হয়। এবং সোমবার (১২ আগস্ট) বিকালে থানা-পুলিশ তাদের ৫৪ ধারায় আটক দেখিয়ে নথিপত্র হাতিয়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থাপন করলে শুনানি শেষে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।