মজিবর রহমান, মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা ইউনিয়ন বাজারের ইজারা নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে বিএনপির দু‘গ্রুপের মধ্যে দুই ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে সাপলেজা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হন। আহতরা হলেন- ওয়ার্ড যুবদল সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহিন (৩৮), মো. শামীম হোসেন গাজী (৩৫), বিএনপি কর্মী মাসুম শরীফ (৩৭), ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মিলন (৪২), যুবদল সদস্য শাহীন শরীফ (৪০), ছাত্রদল কর্মী ইরান (১৭)। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা নেন। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনী ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিততি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধা ও ওয়ার্ড যুবদল সদস্য রফিকুল ইসলাম শাহিন গণমাধ্যমকে জানান, আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের রাজনীতি করি। লুটপাট, হানাহানি ও পছন্দ করি না। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইউপি সদস্য মাহবুব হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন মাস্টার, ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন আলমগীরসহ তাদের ৫০/৬০ জনের একটি দল সাপলেজায় ব্যাপক তান্ডব, ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। অপরদিকে গত অর্থবছরের বাজার ইজারার টাকা পরিশোধ না করায় গত জানুয়ারী মাসে সরকারি খাসমহলের আওতায় ইজারা চলে যায়। যা ওই গ্রুপটির লোক দিয়ে বাজারের ইজারা নিয়ন্ত্রণ করেন।
তহসিলদার শ্যামল চন্দ্র গত ১৭ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে বিষটি ফয়সালার জন্য বসলে হট্টগোলের কারনে কোন সুরহা হয়নি। রোববার সকালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান ও তার লোকজন ইজারা আদায়ের চেষ্টা করলে আমি বাঁধা দেই। এতে আমাকে ধাওয়া করে আমার ঘরে অবরুদ্ধ রাখেন। এসময় যুবদলের ও ছাত্র দলের ৩ জন সদস্যকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়।
ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির খান বলেন, বিগত দিনগুলোতে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির মৃধা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা মিরাজ মিয়ার পক্ষ নিয়ে বেশ কয়েক বছর তান্ডব চালায়। বর্তমানে এ বিষয়টি নিয়ে কথার কাটাকাটির এক পর্যায়ে আমাদের লোকজনের ওপর তারা হামলা চালায়। তান্ডব, ভাংচুর ও লুটপাট এবং বাজার ইজারা রাস্ট্রীয় অর্থ তসরুপ হচ্ছে ভেবে বিষয়টি সেনাবাহিনী ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল কাইয়ূম সেনাবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ইউনিয়ন তহসিলদার শ্যামল চন্দ্রকে দায়িত্ব দেন।
মঠবাড়িয়া থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রেজাউল করিম রাজিব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।