ওসমান হারুনী, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জোনাল অফিসের আওতায় গ্রাহকদের আগস্ট মাসের অধিকাংশই ভূতুড়ে বিল দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত আসা বিলের দেড় থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে যাচ্ছেন। ভূতুড়ে বিলের বিষয়ে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ক্ষুব্ধ কণ্ঠে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি করেছেন। তবে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বলেছেন, কিছু মিটারের সমস্যা রয়েছে, মিটার রিডারদের খামখেয়ালি এবং কিছু গ্রাহক হুজুগে অফিসে এসেছে।
জানা যায়, দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৪৬ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক রয়েছে। এরমধ্যে ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান জিল বাংলা সুগার মিল লিমিটেড রেলওয়ে স্টেশনসহ সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গ্রাহকদের আগস্ট মাসে অধিকাংশের বিদ্যুৎ বিল দেড় থেকে দ্বিগুণ টাকা এসেছে।
ভুক্তভোগী গ্রাহকদের অভিযোগ, আগস্ট মাসের অধিকাংশই ভূতুড়ে বিল দেওয়া হয়েছে। ফলে নিয়মিত আসা বিলের দেড় থেকে দ্বিগুণ বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বিপাকে পড়ে বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বিদ্যুৎ অফিসে কর্মকর্তার দ্বারস্থ হচ্ছেন। ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা জানান, বিদ্যুৎ অফিসের মিটার রিডারসহ অন্য কর্মচারীরা গাফিলতি কারণে অতিরিক্ত বিল দিয়ে গ্রাহকদের হয়রানি হচ্ছে।
পৌরসভা এলাকার মোবাইল ব্যবসায়ী ইনতাজ আলীর অভিযোগ, তার কোনো মাসের বিদ্যুৎ বিল বাকি নেই। জুন মাসে ৯০ ইউনিটের বিল দিয়েছে ৮৮৩ টাকা, জুলাই মাসে ৪০০ ইউনিটের ৩ হাজার ১৪২ টাকা, আগস্ট মাসে ৮৫০ ইউনিটে বিল করা হয় ১০ হাজার ২৮০ টাকা। এ বিল পেয়ে তিনি হতবাক। মাদ্রাসার শিক্ষক জাবেদ মিয়া জুলাই মাসের বিল থেকে আগস্ট মাসের বিল দ্বিগুণ পেয়েছেন। একই ভাবে উপজেলার অসংখ্যা বিদ্যুৎ গ্রাহক ভূতুড়ে বিল নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। বিদ্যুৎ বিল জমা দেওয়ার শেষ তারিখও রয়েছে এ মাসেই।
এ ব্যাপারে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি দেওয়ানগঞ্জ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ইয়াহিয়া সিদ্দিকী জানান, কিছু মিটারের সদস্যা রয়েছে, মিটার রিডারদের গাফিলতিও থাকতে পারে, অনেক গ্রাহকের মধ্যে দুই একটি মিটার রিডিং সমস্যা হতে পারে। কিন্তু অনেকেই একজনের দেখাদেখি অফিসে আসছে। বিষয়টি দেখে সংশোধন করে দেওয়া হচ্ছে।