রাজশাহী থেকে মোঃ হায়দার আলী : জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন ইস্যুতে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন বিতর্ক সৃষ্টি হয় এমন কিছু করবে না অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার দুপুর ১২ টায় রাজশাহী ইসলামিক ফাউন্ডেশনে সকল ধর্মের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেওয়ার পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে । আমরা এমন কোন এই মুহূর্তে কাজ করতে চাই না যেটি নিয়ে কোন বিতর্ক সৃষ্টি হোক। সবাইকে নিয়ে আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ গড়তে চাই।
ধর্মীয় উপাসনালয় হামলার প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, মসজিদ, মন্দির, মাজারে হামলা গর্হিত কাজ, ধর্মীয় উপাসনালয়ে যারা হামলা চালায় তারা মানবতার শক্রু, ক্রিমিনাল। আমরা ক্রিমিনালদের ধরে আইনের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা নিচ্ছি। প্রচলিত আইনে তাদের বিচার করা হবে। এছাড়াও দুর্গাপূজার নিরাপত্তায়
স্থানীয় সাধারণ জনগনের পাশাপাশি মাদ্রাসার ছাত্রদের পূজার সাথে সম্পৃক্ত করে মন্দির পাহারা দেয়া হবে। যেন কোন ধরনের হামলা বা নাশকতা না হয়। মাদ্রাসার ছাত্ররা কোন ধরনের জঙ্গিবাদের সঙ্গে ছিলো না। এটা পূর্বের সরকারের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপর হিন্দু মহাসভার হামলার আশঙ্কার খবরে ধর্ম উপদেষ্টা আরো বলেন, আমরা প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক চাই। আমাদের ক্রিকেট দলের উপর ভারতে হামলার খবর শুনছি। যেহেতু বিসিবি আছে, তারা এবিষয়ে করনীয় ঠিক করবে। পট পরিবর্তনের পর কিছু সনাপন ধর্মাবলম্বীদের বাড়ীতে যেমন হামলা হয়েছে, তেমনি মুসলমানদের বাড়ীতেও হয়েছে। এটাকে ভিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। এ সরকার সকলের সরকার, সবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে বদ্ধপরিকর।
আমরা হলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচন কমিশনকে ঢেলে সাজিয়ে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিয়ে নির্বাচিত দলকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
হজ্বের প্যাকেজ মূল্য কমানোর পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হজ্বের প্যাকেজ মূল্য কমানো নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। হাজিরা যে টাকা দেয় তা থেকে এক পয়সাও আমরা ধর্মমন্ত্রণালয় রাখি না। হাজিদের এক কোটি টাকার আমরা ঔষধ দেই। ৮০ জন ডাক্তার, ২০-৩০ জন নার্স ব্রাদার্স আমরা সাথে রাখি। স্থায়ী চিকিৎসা প্রদান করি। কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে ভর্তি করি। এছাড়াও সৌদি আরবের সাথে যেসব চুক্তি আছে সেগুলো দিয়ে থাকি। এগুলো হাজিদের কাছে নেই না। এছাড়াও হজ্বের যে মূল খরচ থাকা, খাওয়া, বিমান ভাড়া, এবং সৌদি সরকারকে একটি নির্দিষ্ট খরচ দিতে হয়। তিনি বলেন, এই মাসেই সৌদি হজ্ব মন্ত্রীর সাথে দেখা হবে। আমি আপ্রাণ চেষ্টা করছি হাজিদের জন্য যে যে খাতে কমানো যায় এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয় প্যাকেজ ঘোষণা করতে চাই।
কোথায় কোন ধরনের হামলার বিষয়ে বলেন, হামলা হবে এমন কোন পরিস্থিতি নেই। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সাথে মিটিং করে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দিয়েছি। কোথাও কিছু হলে সাথে সাথে তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।