এম এ জলিল সরকার, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ১৩ গ্রামের লোকজন ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় ঘন্টাব্যাপী খনির প্রধান গেটের সামনে পার্বতীপুর-বড়পুকুরিয়া-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে করে মহাসড়কের উভয় পাশের প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা যানজটের সৃষ্টি হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি আদায় বাস্তবায়ন কমিটি’ বৈগ্রামের ব্যানারে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- সংগঠনের সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা, চৌহাটী গ্রামের মতিয়ার রহমান, হযরত আলী, গোলাম রহমান, আতাউর রহমান প্রমুখ। এর আগে একটি বিক্ষোভ মিছিল খনি এলকার প্রদক্ষিণ করে। এতে ১৩ গ্রামের কিশোর-কিশোরী এবং নারী-পুরুষরা যোগ দেয়।
বক্তারা বলেন, প্রতিনিয়ত বসতবাড়ি ফাঁটছে, দেবে যাচ্ছে। ক্রমান্নয়ে বাড়িঘরের ফাটল বৃদ্ধি পাচ্ছে। মৃত্যু ঝুঁকি নিয়ে আমরা সেখানে বসবাস করছি। বৈগ্রাম, কাশিয়াডাঙ্গা, মোবারকপুর, জব্বরপাড়া, দক্ষিণ রসুলপুর (বড়), দক্ষিণ রসুলপুর (ছোট), চক মহেশপুর, পূর্ব জব্বরপাড়া, উত্তর চৌহাটি, চৌহাটি, সাহাগ্রাম, দূর্গাপুর ও হামিদপুর গ্রামে কয়লাখনির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সার্ভে পর্যন্ত করা হয়নি। গত বছরের ৫ নভেম্বর, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২২ আগস্ট ও ৮ সেপ্টেম্বর খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) বরাবর আমরা ৫ বার লিখিতভাবে আমাদের সমস্যা উল্লেখ করে ক্ষতিপুরণের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু এমডি আমাদের দাবির বিষয়ে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
আগামী ২০দিনের মধ্যে এই ১৩ গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের সার্ভে শুরু করা, ক্ষতিপূরণ প্রদানের পদক্ষেপ গ্রহণসহ অন্যান্য দাবি পুরনের উদ্যোগ না নিলে কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করা হবে সংগঠনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা হুসিয়ারী দেন।
এ বিষয়ে জানতে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলামকে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করে না পাওয়ায় মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।