আব্দুল আলীম নোবেল, রামু (কক্সবাজার) প্রতিনিধি: কক্সবাজারের রামুতে নানা আনুষ্ঠানিকতায় ও "সম্প্রীতির জাহাজে ফানুসের আলোয় দূর হয়ক সাম্প্রদায়িক অন্ধকার-"এই শ্লোগানে
বৌদ্ধদের প্রবারণা ও কল্পজাহাজ ভাসা উৎসব পালিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে রামুর ফকিরা বাজার সংলগ্ন বাকঁখালী নদীতে এসব কল্পজাহাজ ভাসানো অনুষ্টিত হয়।
কাঠ, বাঁশ, বেত, রঙিন কাগজে শৈল্পিক নৈপুণ্যের কারুকাজ ও কারিগরী দক্ষতায় তৈরি বৌদ্ধমন্দিরের আদলে এই কল্পজাহাজ গুলো। ছোট ছোট নৌকা বাশেঁর সাথে বেঁধে ভেলা বানিয়ে ঐ ভেলার উপর বসানো হয় কল্পজাহাজ। ঐ জাহাজে বুদ্ধমূর্তির আসন বসানো হয়। যুবকদের মিউজিক্যাল শো সহ দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নদীতে ভাসানো হয় এসব কল্পজাহাজ।
রামু কেন্দ্রীয় প্রবারণা ও জাহাজ ভাসা উৎসব উৎযাপন পরিষদের সভাপতি মিথুন বড়ুয়া বোথামের সভাপতিত্বে এবং অধ্যাপক নীলোৎপল বড়ুয়া ও সুষ্ময় বড়ুয়ার সঞ্চালনায় ধর্মীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে উৎযাপন অনুষ্টান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজার সদর-রামু আসনের সাবেক সাংসদ লুৎফুর রহমান কাজল।
বক্তব্যে তিনি বলেন, কক্সবাজার ও রামুর সম্প্রীতির মেলবন্ধন বহুকালের। প্রতিবছর প্রবারণা ও কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবে বৌদ্ধ, হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলিম সহ সকল ধর্মাবলম্বী মানুষের সরব উপস্থিতি সম্প্রীতির মেলবন্ধনকে আরও উজ্জীবিত করে। ২০১২ সালের ঘটনার মামলা গুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। এতে প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করে নিরপরাধ অনেককে আসামী করা হয়েছে। আমরা লজ্জিত। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে প্রকৃত দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই কল্পজাহাজ ভাসা উৎসবকে আরো প্রাণবন্ত করে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
অনুষ্টানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন উপদেষ্টা একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রামু উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাজ্জাদ জাহিদ রাতুল, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ ইমন চৌধুরী, র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট কক্সবাজার'র সাবেক ট্রাষ্টি এড. দীপংকর বড়ুয়া পিন্টু, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জাবেদ ইকবাল।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন বৌদ্ধ ঐক্য কল্যাণ পরিষদ রামুর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পলক বড়ুয়া আপ্পু, রামু কেন্দ্রীয় প্রবারণা ও কল্পজাহাজ ভাসা উৎসব উদযাপন পরিষদ-২৪ এর প্রধান সমন্বয়ক জ্যোর্তিময় বড়ুয়া রিগ্যানসহ বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সিভেল ডিফেন্স, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।
এতে আশীর্বাদক হিসেবে উপস্থিত ছিলে, শ্রীকুল পুরাতন বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ ভদন্ত উ. ছেকাচারা মহাথেরো।