জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: সরকার ঘোষিত সেন্টমার্টিন ভ্রমণে নানা বিধি-নিষেধ ও রাত্রিযাপন সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবিতে কক্সবাজার শহরের পর্যটন জোন কলাতলীতে কাফনের কাপড় পড়ে সড়ক অবরোধ করেছেন সেন্টমান্টিনবাসীসহ পর্যটন শিল্পের সাথে জড়িত বিভিন্ন স্তরের লোকজন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) দুপুর থেকে সহস্রাধিক মানুষ কলাতলীর ডলফিন মোড়ে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। সড়ক অবরোধের কারণে কলাতলীর প্রধান সড়ক ও মেরিন ড্রাইভ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।
আন্দোলনকারীরা জানায়, সেন্টমার্টিনের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও রাত্রিযাপন সীমিতকরণের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে সড়ক অবরোধ করছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা সরবে না।
সড়ক অবরোধের কারণে কলাতলীর প্রধান সড়ক ও মেরিনড্রাইভ সড়কে সব ধরনের যান চলাচল পুরো বন্ধ ছিলো। সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের বুঝানোর চেষ্টা করে ও সড়ক অবরোধ তুলে নিতে আহ্বান জানান। কিন্তু আন্দোলনকারীরা তাদের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। অবশেষে দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার জন্য ঘটনাস্থলে আসেন কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নীলুফা ইয়াসমিন চৌধুরী ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরীসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। আলোচনার পর প্রশাসনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে ৫ ঘণ্টা পর বিকাল ৪ টার দিকে সড়ক অবরোধ প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানায়, সেন্টমার্টিন দ্বীপের ছাত্র-ছাত্রী, স্থানীয় জনগণ, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিক, মৎস্যজীবী, চাকরিজীবী, তরুণ উদ্যোক্তা, পর্যটন ব্যবসায়ী, ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী, হোটেল-রিসোর্ট মালিকসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রবল আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং রাত্রিযাপন ও পর্যটক যাতায়াত সীমিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যার ফলে ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষ বেকার হয়ে পড়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জীবন ও জীবিকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ফলে আর্থিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পড়ালেখা ও ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত। তাই বাধ্য হয়ে তারা রাস্তায় নামেন।