দুই দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে কমেছে ডিম ও বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম। সবজি প্রতি কেজিতে প্রকারভেদে ২০ থেকে ৪০ টাকা দাম কমেছে, ডিম হালিতে কমেছে ৪ টাকা। মোকামগুলোতে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে কমছে দাম বলছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে হিলির কাঁচাবাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বর্তমানে বেগুন কেজি প্রতি ২০ টাকা কমে ৮০ টাকা, পটল ১০ টাকা কমে ৫০ টাকা, শিম ৪০ টাকা কমে ২০০ টাকা, করলা ১০ টাকা কমে ৭০ টাকা, শসা ২০ টাকা কমে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে কমেছে ডিমের দাম, প্রতি হালি ডিম ৪ টাকা কমে এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকায়। অন্যদিকে টমেটোর দাম বেড়েছে, টমেটো কেজি প্রতি ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দাম কমাতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে। নিয়মিত বাজার মনিটরিংসহ নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।
হিলি বাজারে কাঁচা বাজার করতে আসা আশিকুল আলম বলেন, কয়েক দিন থেকে নিত্যপণ্যের বাজারে সব সবজির দাম বেড়েই চলেছে। হঠাৎ করে সবজির বাজারে দাম বেড়ে যায়। তবে বর্তমানে কিছু কিছু সবজির দাম কমেছে। যার কারণে কিছুটা স্বস্তি পাচ্ছি। তবে একবারে ৫০ টাকা বৃদ্ধি করে ১০ টাকা কমালে হবে না। যার জন্য নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা দরকার। কিন্তু হিলিতে তা করা হয় না। যার কারণে কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিজের ইচ্ছে মতো দাম বৃদ্ধি করে দিচ্ছে। এর ফলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে।
হিলি বাজারের সবজি বিক্রেতা সোহেল রানা বলেন, দুই দিন থেকে মোকামে শীতকালীন সবজির দাম কিছুটা কমেছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে কেজি প্রতি ২০ থেকে ৪০ টাকা প্রকারভেদে সবজির দাম কমেছে।
হিলি বাজারের ডিম বিক্রেতা আলমগীর হোসেন বলেন, ভারত থেকে ডিম আমদানি হবে এমন সংবাদে খামার মালিকরা ডিমের দাম কমে দিয়েছে। আমরা কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করছি। বর্তমানে প্রতি পিচ ডিম এক টাকা কমেছে। এখন প্রতি হালি লেয়ার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫২ টাকা দরে। তবে আগের থেকে ক্রেতা অনেক কমে গেছে।