দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে আনন্দবাজারে তার মনের কথা জানিয়েছেন টালিউড-বলিউডের বর্ষীয়ান অভিনেতা আশিস বিদ্যার্থী।
এ অভিনেতা লিখেছেন— মনে আছে প্রচুর ঢাক বাজাতাম। আর ভোগ রান্নার সময় হাতা-খুন্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়তাম। খিচুড়ি, লাবড়ায় মিশে যেত হাসি-ঠাট্টার পাঁচফোড়ন। রান্না আরও সুস্বাদু হতো।
আশিস বিদ্যার্থী বলেন, বিয়ের পর আমাদের প্রথম পূজা। মুম্বাইয়ে রুপালির প্রথম পূজা। পঞ্চমী থেকে উদযাপনে মেতেছি। ওই দিন আমরা পশ্চিম মালাডের ‘ভূমি পার্ক দুর্গোৎসব’ উদ্বোধন করলাম। অনেক দিন পর ধুনুচি নাচ নেচে দিল খুশ! প্রত্যেক বছর অবশ্য এই পূজায় আমি থাকি। এ বছর বাড়তি আনন্দ আমার পাশে রুপালি। একচালার দুর্গা প্রতিমা দেখে ও খুব খুশি। আমি খুশি এই পূজার হাত ধরে ছেলেবেলা ফিরে পাওয়ায়।
তিনি বলেন, আমার ছেলেবেলা দিল্লির করোলাবাদে যত্নে রাখা। মনে পড়ে, কলেজ সেরেই পূজা মণ্ডপে ছুটতাম। খুব ঢাক বাজাতাম। পর্দা টাঙিয়ে সিনেমা দেখানো হতো। আর অঞ্জলি, দেবীর ভোগ। জানেন, আমিও রান্নায় হাত লাগাতাম। যেদিন ভোগ রান্না, সেদিন সকালে হাতা-খুন্তি নিয়ে পৌঁছে যেতাম নির্দিষ্ট স্থানে। খিচুড়ি, লাবড়ায় মিশে যেত হাসি-ঠাট্টার পাঁচফোড়ন। রান্না আরও সুস্বাদু হতো। প্রায় প্রত্যেক দিন বড় গাড়ি ভাড়া করে সারা শহর চষে ফেলতাম। কপাল খারাপ— একটা প্রেম আসেনি জীবনে! কী করে হবে? দিল্লিতে পাড়া কালচার। সবার নজরেই বেলা কেটে গেল! পূজা প্রেম হলোই না।
সেই অভাব এ বছর মিটিয়ে নিচ্ছি। ষষ্ঠীতেও আমি আর রুপালি মুম্বাইয়ে থাকব। আমাদের ‘স্ট্যান্ডআপ কমেডি’ রয়েছে। সপ্তমী থেকে দেশভ্রমণ শুরু। দেরাদুন থেকে শুরু। পাঞ্জাব হয়ে সর্বত্র ঘুরব। রুপালি খুব আনন্দে রয়েছে। যেখানে যাচ্ছে, সেখান থেকেই কিছু না কিছু স্থানীয় গহনা কিনছে। পঞ্চমীর দিন আমরা নিজেদের প্রদেশের পোশাক পরে সেজেছিলাম। কেরলের মুণ্ডা পরেছি। রুপালি আগের দিন অসমের মেখলা পরেছিল। ষষ্ঠীতে সেজেছে শাড়িতে। প্রেম করে বিয়ে করলে বয়সটা যেন পিছু হাঁটতে থাকে। এ বছরের পূজা সেটিই বুঝিয়ে দিল।