ইসলামের বিধানে অনুমোদন না থাকায় পাকিস্তানের ইতিহাসের প্রথম মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক বন্ধ হয়ে গেছে। ব্যাংকটি চালু হওয়ার মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে এই মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক। সোমবার (৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১২ জুন পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের করাচিতে অবস্থিত সিন্ধ ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথ অ্যান্ড নিওন্যাটোলজি (এসআইসিএইচএন) এই মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালু করেছিল। জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ ও পাকিস্তান পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় স্থাপন করা হয়েছিল এটি।
সিন্ধু প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. আজরা পেচুহো এই ব্যাংকের উদ্বোধন করেছিলেন। উদ্বোধনের সময় ইউনিসেফ ও পাকিস্তান পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সে সময় করাচির অন্যতম ধর্মীয় উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান জামিয়া দারুল উলূম করাচি এই মাতৃদুগ্ধ ব্যাংক চালুর বিষয়ে ফতোয়া বা ধর্মীয় বিধানের আলোকে অনুমতি দিয়েছিল।
কিন্তু তারপরও পাকিস্তানজুড়ে বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্কের শুরু হয়। বিশেষ করে ইসলামি ‘দুধ মা’ বিধানের আলোকে অনেকে বিষয়টি বিবেচনা করতে থাকেন। ইসলামি বিধান অনুসারে, যারা একই নারী স্তন্যপান করে তাদের দুধ ভাই-বোন বলা হয়। আর এ দুধ ভাই-বোনের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ। আর এই বিষয়টি নিয়েই বাঁধে গোল।
এ বিষয়ে রাওয়ালপিন্ডিভিত্তিক বিশিষ্ট ইসলামিক চিন্তাবিদ মুফতি সৈয়দ কায়সার হুসাইন তিরমিজি বলেন, ‘দুধপানের ভিত্তিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক রক্তের বন্ধনের অনুরূপ, যা ইসলামি আইনি কাঠামোর মধ্যে একই নারীর বুকের দুধ খাওয়া ভাই-বোনের মধ্যে বিয়েকে নিষিদ্ধ করে।’