ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তার দেশ শত্রুদের ভয়াবহ ধাক্কা দিয়েছে। যারা আমাদের ক্ষতি করে, আমাদের শিশুদের হত্যা করে, আমাদের নাগরিকদের হত্যা করে, আমাদের জাতির ওপর আঘাত হানে, তাদের মাথা রক্তাক্ত হয়ে গেছে।
বুধবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে নেতানিয়াহু এ দাবি করেন। তেহরানে হামাসপ্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ড ও লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর কমান্ডার ফুয়াদ শুক্রির মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার পর তিনি এ কথা বললেন। খবর সিএনএনের।
নেতানিয়াহু বলেন, বিগত কয়েক দিনে তার দেশ শত্রুদের ভয়াবহ ধাক্কা দিয়েছে। তবে তিনি ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে কোনো কথা বলেননি। এ ছাড়া ইসরাইলও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের দায় নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘তিন সপ্তাহ আগে আমরা হামাসের সামরিক প্রধান মোহাম্মদ দায়েফের ওপর হামলা করেছিলাম। দুই সপ্তাহ আগে আমরা হুতিদের ওপর আক্রমণ করেছি—আমাদের বিমানবাহিনীর সবচেয়ে দূরবর্তী হামলার একটি ছিল এটি। বুধবার আমরা হিজবুল্লাহর সামরিক প্রধান ফুয়াদ শুক্রির ওপর হামলা চালিয়েছি।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ইসরাইল চ্যালেঞ্জিং দিনের মুখোমুখি হচ্ছে এবং যারা আমাদের দেশের ক্ষতি করবে, তাদের সঙ্গে আমরা অবশ্যই একটি মীমাংসায় আসব। এগুলো চ্যালেঞ্জিং দিন। বৈরুত থেকে হুমকি আছে। আমরা যে কোনো পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত।’
ভাষণে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ‘যুদ্ধের লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। আমরা তখনো হার মানিনি, এখনো মানব না।’
এদিকে, তিনটি ইরানি সূত্রকে উদ্ধৃত করে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরাইলে সরাসরি হামলার নির্দেশ দিয়েছেন। দেশটির রাজধানী তেহরানে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ হিসেবে তিনি এই নির্দেশ দিয়েছেন।
ইরান সরকারের এক কর্মকর্তা ও দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) দুই কর্মকর্তা জানান, বুধবার সকালে ইরানের সর্বোচ্চ জাতীয় পরিষদের এক জরুরি বৈঠকে খামেনি এই নির্দেশ দেন। ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের অল্প কিছুক্ষণ পরেই এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে তারা নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।