আফ্রিকা মহাদেশের বেশ কয়েকটি দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ নিয়ে মাত্র দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো মাঙ্কিপক্স জনিত বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করলো সংস্থাটি।
বুধবার (১৪ই আগস্ট) এক জরুরি বৈঠকে বসে ডব্লিউএইচও'র একটি কমিটি। মাঙ্কিপক্স নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা লাগবে কিনা, সে বিষয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম ঘেব্রেইসাসকে পরামর্শ দিতেই এই বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠক শেষে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
টেড্রস বলেন, এটি স্পষ্ট যে এই প্রাদুর্ভাব বন্ধ করতে এবং জীবন বাঁচাতে একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক সাড়াদান কর্মসূচি অপরিহার্য।
টেড্রস আরও বলেন, কঙ্গোতে মাঙ্কিপক্সের নতুন ধরন শনাক্ত ও দ্রুত সংক্রমণ হচ্ছে। আগে যেসব দেশে এই ভাইরাস দেখা যায়নি সেখানে এবার শনাক্ত হয়েছে। এখন এটি আফ্রিকা এবং এই মহাদেশ ছাড়িয়ে বিশ্বের অন্যত্র ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এসব বিষয় খুবই উদ্বেগজনক।
মাঙ্কিপক্স হলো স্মলপক্স আর কাউপক্সের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি পক্স ভাইরাস। কোনো মানুষের শরীরে মাঙ্কিপক্স সংক্রমণ হলে সাধারণত ফুসকুড়ি বা ফোসকার মতো ক্ষত হয়। ফ্লুর মতো উপসর্গ দেখা দেয়। কখনো জ্বরও হয়ে থাকে। ক্ষত সাধারণত বাহু আর পায়ে হয়ে থাকে। দেখা যায়, দীর্ঘ সময় ত্বকে ত্বকে সংস্পর্শ হলে এর বিস্তার ঘটে।
এবারের মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণটা শুরু হয় কঙ্গো থেকে। সেখানে এই ভাইরাসের স্থানীয় একটি ধরন ছড়িয়ে পড়ে। এটি ক্লেড আই নামে পরিচিত। তবে এখন নতুন আরেকটি ধরন দেখা দিয়েছে। ক্লেড আইবি নামের এই নতুন ধরন যৌন মিলনসহ নিয়মিত ঘনিষ্ঠ সংস্পর্শে দ্রুত ও সহজে ছড়িয়ে পড়ে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভাইরাসটি কঙ্গো থেকে বুরুন্ডি, কেনিয়া, রুয়ান্ডা, উগান্ডাসহ প্রতিবেশী আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মাঙ্কিপক্স ঠেকাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
সূত্র- রয়টার্স।