আফ্রিকার দেশগুলোয় এমপক্স ভাইরাস ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বজুড়ে জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বুধবার (১৪ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো থেকে আফ্রিকার অন্তত ১৩টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এমপক্সের নতুন ধরণ- ক্লেড ১বি। খবর, রয়টার্স।
ভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট অতি দ্রুত ছড়াচ্ছে বলেও জানায় ডব্লিউএইচও। সংস্থাটির মহাসচিব তেদ্রোস আধানম জানান, ভাইসারটির সংক্রমণে উচ্চ মৃত্যুহার নিয়ে উদ্বিগ্ন গবেষকরা। এ কারণেই, দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার জারি করা হয়েছে জরুরি সতর্কতা। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, আক্রান্ত ব্যক্তির স্পর্শে গেলে ছড়ায় এই এমপক্স ভাইরাস। ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি পুঁজ-ভরা ক্ষত সৃষ্টি হয়। তেদ্রোস আধানম বলেন, ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক কঙ্গোসহ আফ্রিকার অন্যান্য দেশে এমপক্সের প্রাদুর্ভাব পর্যালোচনার জন্য গত সপ্তাহেই আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিধিমালার অধীনে একটি জরুরি কমিটি গঠন করেছি। বৈঠক শেষে তারা আমাকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি সতর্কতা জারির পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শই গ্রহণ করেছি।
জানা গেছে, আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়ায়। এতে ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি পুঁজ-ভরা ক্ষত সৃষ্টি করে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে প্রভাব সামান্য দেখা গেলেও মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। কঙ্গোতে প্রাদুর্ভাব শুরু হয়েছিল ক্লেড আই নামে পরিচিত একটি স্থানীয় স্ট্রেনের বিস্তারের মাধ্যমে। তবে নতুন রূপটি ক্লেড আইবি নামে পরিচিত। ভাইরাসটি ঘনিষ্ঠ যোগাযোগের মাধ্যমে সহজে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে এটি দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে শিশুদের মধ্যে।
আফ্রিকা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (আফ্রিকা সিডিসি) গত সপ্তাহে সতর্ক করে জানায়, ভাইরাল সংক্রমণের বিস্তারের হার উদ্বেগজনক। আগে মাঙ্কিপক্স নামেই পরিচিত ছিল এ ভাইরাস। এমপক্স আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে গেলে এটি ছড়ায়। এটি যৌন সম্পর্ক, ত্বকের সংস্পর্শ, কথা বলা বা শ্বাসপ্রশ্বাসের মাধ্যমেও ছড়াতে পারে। এতে ফ্লুর মতো উপসর্গের পাশাপাশি ক্ষত সৃষ্টি হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে মানুষের মধ্যে প্রথম শনাক্ত হয়। এরপর এমপক্স কয়েক দশক ধরে আফ্রিকার কিছু অংশে ছড়াতে থাকে।