রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিতে শুরু করেছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। তবে পাল্টা আক্রমণ থামায়নি রাশিয়া। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানো অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক ও খারকিভ অঞ্চলের তিনটি গ্রাম দখল করেছে তারা। এবার ইউক্রেনকে সতর্ক বার্তাও দিয়েছে পুতিন।
সোমবার সাইবেরিয়ায় শিক্ষার্থীদের এক অনুষ্ঠানে দেওয়া এক বক্তব্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, তার দেশের সীমান্তে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অনুপ্রবেশ রাশিয়ার যুদ্ধে অগ্রগতি থামাতে পারবে না। রুশ সেনারা পূর্ব ইউক্রেনের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এ ঘটনা প্রমাণ করে, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অনুপ্রবেশ ব্যর্থ হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে পুতিন বলেন, ‘বিশেষ করে কুরস্ক অঞ্চলে মানুষ চরম কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে। তবে শত্রুদের মূল উদ্দেশ্য সফল হয়নি। তারা দনবাস তথা দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে আমাদের আক্রমণ থামাতে চেয়েছিল। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে দীর্ঘদিন ধরে দনবাসে আমাদের আক্রমণের এমন গতি ছিল না।’
এর আগে, গত ৬ আগস্ট রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এরই মধ্যে অঞ্চলটির ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকার দখল নিয়েছে তারা। বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে ইউক্রেনের পতাকা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর রাশিয়ার মাটিতে এ ধরনের হামলা এটিই প্রথম। এ ঘটনায় বেশ উজ্জীবিত হয় ইউক্রেন। দেশটির পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের হামলার লক্ষ্য ছিল পূর্ব ইউক্রেন থেকে রুশ বাহিনীকে তাড়ানোর ব্যবস্থা করা।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রতিশোধ কী জিনিস, তা অনুধাবন করবে রাশিয়া। তারা আমাদের ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু আমাদের ভূখণ্ডে তারা যা (দখলদারত্ব) করতে চেয়েছিল, সেটি এখন তাদের নিজ ভূখণ্ডেই ফিরে এসেছে। এখন বুঝুক তারা আসলে কী করেছে। ইউক্রেনীয়রা জানে কীভাবে তাদের লক্ষ্য অর্জন করতে হয়।’ রাশিয়ার কাছ থেকে দখল করা অঞ্চলগুলোকে ‘বিনিময় তহবিল’ হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, ইউক্রেনে মস্কোর দখল করা অঞ্চলগুলোর সঙ্গে এগুলোর বিনিময় হতে পারে।
যার জবাবে পুতিন বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই সেই দস্যুদের মোকাবিলা করতে হবে, যারা রুশ ফেডারেশনের ভূখণ্ডে, বিশেষ করে কুরস্ক অঞ্চলে প্রবেশ করেছে, সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে।’