অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরও ২৬ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দিনভর বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে নিরীহ এসব মানুষকে হত্যা করে দখলদার বাহিনী। এদিন গাজা শহরে বাস্তুচ্যুত লোকদের অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত একটি স্কুল ভবনেও তাণ্ডব চালায় ইসরায়েলিরা। সেখানে অন্তত পাঁচজনকে হত্যা করেছে তারা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুসারে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৪১ হাজার ১৮২ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৯৫ হাজার ২৮০ জন। আরও বহু মানুষ এখনো নিখোঁজ। ইসরায়েলের হামলায় তারাও প্রাণ হারিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, গাজা উপত্যকার দক্ষিণে রাফাহ শহরের তাল আস-সুলতান এলাকায় বোমা মেরে বিভিন্ন আবাসিক ভবন উড়িয়ে দিচ্ছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। রাফাহর পশ্চিমে আল-মাওয়াসি এলাকার ভবনগুলোতেও বোমা ফেলছে দখলদার বাহিনী।
এদিন গাজার মধ্যাঞ্চলীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরায়েলি হামলায় অন্তত তিনজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।
সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরেও। বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, অধিকৃত অঞ্চলটির জেইতা শহরে ইসরায়েলি বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। এর জেরে সেখানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়েছে। উত্তরাঞ্চলীয় শহরটিতে প্রতিরোধকারী ফিলিস্তিনিদের ওপর তাজা গুলি ও টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে দখলদাররা।
ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি অভিযানের জেরে নাবলুস শহরের দক্ষিণে অবস্থিত মাদামা, উরিফ এবং ইয়িতমা গ্রামেও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আচমকা হামলা চালায় হামাস ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো। এতে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হন। জিম্মি করা হয় আরও দুই শতাধিক মানুষকে, যাদের বেশিরভাগই ইসরায়েলি নাগরিক। এরপর থেকেই ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল।