ঐতিহাসিক অভিযান শেষে পাঁচ দিন পর পৃথিবীতে ফিরেছেন স্পেসএক্সের পোলারিস ডনের অভিযাত্রীরা। প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিক স্পেসওয়াক শেষে গতকাল রবিবার তাঁরা পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছান।
গত বৃহস্পতিবার বেসরকারি উদ্যোগে প্রথমবারের মতো দুই নভোচারী একটি স্পেসএক্স ক্যাপসুলের বাইরে বের হয়ে ‘স্পেসওয়াক’ করে আসেন। ‘স্কাইওয়াকার’ নামে আখ্যায়িত হ্যাচ খুলে পোলারিস ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে তাঁরা বাণিজ্যিক মহাকাশশিল্পের ক্ষেত্রে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
মহাকাশে থাকা অবস্থায় যখন একজন নভোচারী মহাকাশযান থেকে বের হন, তাঁকে বলা হয় স্পেসওয়াক। মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন মহাকাশযান প্রস্তুতকারক ও মহাকাশযাত্রা সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্সের রকেটটিতে করে স্পেসওয়াকে যাওয়া নভোচারীদের কেউ-ই পেশাগতভাবে নভোচারী নন। তাঁদের সবাই বেসামরিক নাগরিক। শখের বশেই স্পেসওয়াকে গেছেন তাঁরা।
টিকিট কিনে পাঁচ দিনের ওই যাত্রায় মার্কিন বিলিয়নেয়ার জ্যারেড আইজ্যাকম্যানের সঙ্গী হয়েছিলেন মার্কিন বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্কট পোটিট, মিশন বিশেষজ্ঞ সারাহ গিলিস ও আনা মেনন। এর আগে শুধু সরকারি অনুদানে নভোচারীরা স্পেসওয়াকে গেছেন। ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের জন্য এই অভিযান আরেকটি বড় মাইলফলক। প্রথমদিকে মহাকাশশিল্পের বৃহত্তম অঙ্গনে স্পেসএক্স অবাঞ্ছিতই ছিল।
তবে ২০২০ সালে মহাকাশশিল্পের জায়ান্ট হিসেবে পরিচিত বোয়িংকে পরাস্ত করে এই শিল্পের পাওয়ার হাউসে পরিণত হয় স্পেসএক্স। পোলারিস ডন স্পেসএক্সের পোলারিস কর্মসূচির অধীনে তিনটি অভিযানের মধ্যে প্রথম। এরপর এই রকম আরো দুটি অভিযান পরিচালনা করবে স্পেসএক্স।
সূত্র : বিবিসি