গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ ২৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে অবরুদ্ধ ভূখণ্ডটিতে দখলদার ইসরায়েলের হামলায় ৪১ হাজার ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সাড়ে ৯৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নিহতদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হচ্ছে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসে। ভয়ংকর অবস্থা উত্তর গাজারও। সেখানে ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন একটি পরিবারের প্রায় সব সদস্যই।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা দপ্তর বলেছে, বৃহস্পতিবার গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বোমাবর্ষণে কমপক্ষে ২৮ জন নিহত হয়েছেন। এরপর গাজা শহরে দুটি ইসরায়েলি হামলায় ১২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
পৃথক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় বৃহস্পতিবার দুই শিশু ও এক নারীসহ অন্তত ১২ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স এক বিবৃতিতে বলেছে, দক্ষিণ গাজার রাফাতে ইসরায়েলি ড্রোন হামলার পর তাদের দল দুজনের লাশ উদ্ধার করেছে।
এতে আরও বলা হয়েছে, দক্ষিণ গাজা শহরের একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক নারী এবং দুই মেয়ে শহীদ হয়েছেন।
সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উত্তর গাজার জাবালিয়া শহরে বাস্তুচ্যুত লোকদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি বাড়ি লক্ষ্য করে বিমান হামলায় আরও সাত ফিলিস্তিনি নিহত এবং অন্যান্যরা আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আনাদোলুকে জানিয়েছেন, একটি যুদ্ধবিমান আজাম পরিবারের একটি বহুতল বাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। যার ফলে বাড়িটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং ভেতরে হতাহতের ঘটনা ঘটে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ ও আহত ব্যক্তিদের সন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
মূলত জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের একটি প্রস্তাবে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানো সত্ত্বেও গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় তার নৃশংস আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, ইসরায়েলি আগ্রাসনে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৪১ হাজার ২৭২ জন মানুষ নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ১৬ হাজার ৭৯৫ জন শিশু এবং ১১ হাজার ৩৭৮ জন নারী। এ ছাড়া ৯৫ হাজার ৫৫০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।