ইসরাইলের উপর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, বিশ্ব আগুনে জ্বলছে এবং মার্কিন নেতৃত্ব সেটা প্রতিরোধে কিছুই করছে না।
জো বাইডেন এবং কমলা হ্যারিসের সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছেন, এই দুই ব্যক্তি আমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।
বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইনডিপেন্ডেন্ট।
বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘বিশ্ব আগুনে জ্বলছে; নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে। আমাদের কোনো নেতৃত্ব নেই, দেশ পরিচালনার কেউ নেই। জো বাইডেন আমাদের একজন অস্তিত্বহীন প্রেসিডেন্ট। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসও এখানে সম্পূর্ণ অনুপস্থিত’।
‘প্রশাসনে ইরানকে নিয়ন্ত্রণ করতে কেউ দায়িত্বে নেই এবং এটাও স্পষ্ট নয় কে বেশি বিভ্রান্ত: বাইডেন না কমলা। এমনকি কী ঘটছে তার কোনো ধারণাও তাদের নেই।’
ট্রাম্পের বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘(সাবেক) প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের অধীনে, আমাদের মধ্যপ্রাচ্যে কোন যুদ্ধ ছিল না, ইউরোপে কোন যুদ্ধ ছিল না এবং এশিয়ায় সম্প্রীতি ছিল, মুদ্রাস্ফীতি ছিল না, আফগানিস্তানে বিপর্যয় ছিল না। আমাদের শান্তি ছিল। এখন যুদ্ধ বা যুদ্ধের হুমকি, সর্বত্রই ক্ষোভ। দেশ পরিচালনাকারী দুই অযোগ্য ব্যক্তি আমাদের তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।’
আসন্ন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসকে জেতাতে ইরান কাজ করছে বলে অভিযোগ ট্রাম্পের। এ কারণে বারবার তার নির্বাচনি প্রচারণায় হামলার ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ তার।
ট্রাম্প বলেন, ‘এটা অবাক হওয়ার কিছু নেই যে ইরান মরিয়াভাবে কমলা হ্যারিসকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে পেতে হতে চায়। কারণ তারা জানে যতদিন কমলায় ক্ষমতায় থাকবেন, তারা আমেরিকার সুবিধা নিতে পারবে। এ কারণে তারা আমাকে টার্গেট করার চেষ্টা করেছে।’
ক্ষমতায় থাকলে হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা ঘটত না, এমন দাবি পুনর্ব্যক্ত করা হয় ট্রাম্পের বিবৃতিতে। একইসঙ্গে আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হলে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রিপাবলিকান এই প্রার্থী।
‘যদি আমি দায়িত্বে থাকতাম, ৭ অক্টোবর কখনই ঘটতো না, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কখনও হতো না। এছাড়া আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার এবং অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি দেখতে হতো না। আমি জিতলে বিশ্বে আবার শান্তি হবে। কমলা যদি আরও ৪ বছর পায়, পৃথিবী ধোঁয়ায় জ্বলে উঠে যাবে।’।