গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরাইলে সীমান্তে ঢুকে অতর্কিতে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোল হামাস। এরপর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধে গাজায় এখন পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪২ হাজার মানুষের। শুধু হামাসের ঘাঁটি বলে পরিচিত গাজা উপত্যকা নয়, ইসরাইল হামলা চালাচ্ছে লেবাননের উপরেও।
বিশ্বজুড়ে যুদ্ধবিরতির তীব্র আহ্বান উপেক্ষা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। এ নিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের তোয়াক্কা করার প্রয়োজনও বোধ করছে না বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে, যুদ্ধ থামানো তো দূরের কথা উত্তরোত্তর তার ঝাঁজ বাড়াচ্ছে ইসরাইল। নতুন করে আগ্রাসনের থাবা বসিয়েছে লেবাননের বৈরুতে।
গাজা যুদ্ধের এক বছর পেরিয়ে গেলেও দমে যাওয়ার পাত্র নন নেতানিয়াহু। বরং দেশের সেনাবাহিনীকে উজ্জীবিত করে তিনি বার্তা দিলেন, ‘আমরাই জিতব।’
তিনি বলেন, ‘আমরাই জিতব। গাজাতে জিতব, লেবাননে জিতব। ইরানেও হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। শত্রুদের গুঁড়িয়ে দাও, একেবারে ধ্বংস করে দাও। আজ থেকে এক বছর আগে আমরা ভয়ানক ধাক্কা খেয়েছিলাম। কিন্তু গত ১২ মাসে সেই ছবিটাকে আমরা সম্পূর্ণরূপে পাল্টে দিয়েছি।’
এছাড়া ইসরাইলের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হারজি হালেভি বলেন, এক বছর পর, ‘আমরা হামাসের সামরিক শাখাকে পরাজিত করেছি।’
অন্যদিকে, ৭ অক্টোবরকে গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করছে হামাস। ৭ অক্টোবরের হামলাকে গর্বের দিন বলে উল্লেখ করে হামাস জানিয়েছে, এই দিনটি ফিলিস্তিনির জাতির প্রতিরোধের এক ঐতিহাসিক দিন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৭ অক্টোবর ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা গাজা থেকে সীমান্ত পার হয়ে দক্ষিণ ইসরাইলে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এ হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি ইসরাইলের। হামলা চলাকালে ইসরাইল থেকে ২৫০ জনেরও বেশি মানুষকে ধরে নিয়ে গাজায় জিম্মি করে রাখে হামাস যোদ্ধারা। কিছু জিম্মিকে ছেড়ে দিলেও এখনো অনেকে আটক আছে হামাসের হাতে।
এই এক বছরে হামাসের শীর্ষপ্রধান ইসমাইল হানিয়া থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করেছে ইসরাইল। এছাড়া ইসরাইলের একাধিক অভিযানে বহু হামাস এবং হিজবুল্লাহ কমান্ডারের মৃত্যু হয়েছে।