পশ্চিমবঙ্গে আরও ১০৯ চিকিৎসক ‘গণপদত্যাগ’ করেছেন। এর আগে ৫০ জন সিনিয়র চিকিৎসক পদত্যাগ করেছিলেন। আরজি কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসক ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে তারা এই পদত্যাগ করেছেন। একই দাবিতে কলকাতার ধর্মতলায় অনশন করছেন সাতজন জুনিয়র চিকিৎসক।
বুধবার দুপুর ১টা নাগাদ সাদা কাগজে স্বাক্ষর করে ‘গণইস্তফা’ দেন মোট ৭৫ জন সিনিয়র চিকিৎসক। তাদের সবাই কলকাতা মেডিকেলের চিকিৎসক। এরপর ন্যাশনাল মেডিক্যাল থেকে ৩৪ জন সিনিয়র ডাক্তার ‘গণইস্তফা পত্রে’ স্বাক্ষর করেন। একই পথে হাঁটতে চলেছে শহরের আরও কয়েকটি হাসপাতাল। এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের তরফে সরকারকে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে সেখানকার সিনিয়র ডাক্তারেরাও ‘গণইস্তফা’ দেবেন বলে জানিয়েছেন। একই সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারেরাও।
পর পর দুই দিন কলকাতা শহরের দুই মেডিক্যাল কলেজের সিনিয়র চিকিৎসকদের গণপদত্যাগের ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর চাপ বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে প্রশাসন সূত্র মনে করছে, এটা কোনো ইস্তফাই নয়। কোনো সরকারি কর্মী এভাবে ইস্তফা দিতে পারেন না। তার আলাদা প্রক্রিয়া রয়েছে।
এদিকে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-এর সাত জন প্রতিনিধি ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন ধর্মতলায়। গত শনিবার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি দাওয়াগুলোকে শুরু থেকেই সমর্থন জানিয়ে এসেছেন সিনিয়র চিকিৎসকরা। সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন