পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে মস্কো এবং তেহরানের অবস্থান প্রায়ই ‘খুব কাছাকাছি’ বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
শুক্রবার (১১ অক্টোবর) তুর্কমেনিস্তানে এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোটের একটি সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ও ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার সময় পুতিন এ মন্তব্য করেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম তাস।
বৈঠকে পুতিন বলেন, পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে মস্কো এবং তেহরানের অবস্থান ‘খুব কাছাকাছি’। ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আমরা অগ্রাধিকার দেব। ইরান খুব সফলভাবে নিজেদের উন্নয়ন করে চলছে।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমাদের মোকাবেলায় মস্কোর মিত্রদের জন্য একটি ‘নতুন বিশ্বব্যবস্থা’ তৈরি করতে হবে। এছাড়া মস্কো উদীয়মান বহুমুখী বিশ্বের উপর ‘সম্ভাব্য সবথেকে বিস্তৃত আন্তর্জাতিক আলোচনা’ সমর্থন করে। স্বাধীন রাষ্ট্রের কমনওয়েলথ, ইউরেশিয়ান অর্থনৈতিক ইউনিয়ন, সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা এবং ব্রিকসসহ বিভিন্ন ফোরাম তাদের জন্য উন্মুক্ত।
ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জানান, চলতি বছর ২২-২৪ অক্টোবরে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকা) শীর্ষ সম্মেলনে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। সম্মেলনে দু্ই দেশের মধ্যে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত হতে পারে। সম্মেলনে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি এবং মধ্য এশিয়ার দেশ- কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তানসহ অন্যান্য আঞ্চলিক নেতারা অংশ নেন।
তিনি আরও বলেছেন, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিকভাবে, রাশিয়ার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ দিনদিন শক্তিশালী হচ্ছে এবং আরও শক্তিশালী হবে। এ তথ্য জানিয়েছে ইরানি বার্তা সংস্থা ইরনা।
এই সময় পেজেশকিয়ান লেবাননে ইসরায়েলের হামলা সম্পর্কে বলেন, ইসরায়েলের উচিত এই অঞ্চলে নিরপরাধ মানুষ হত্যা বন্ধ করা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের উচিত ইসরাইলের কর্মকাণ্ডে জন্য অভিযুক্ত করা।
২০২২ সালে মস্কো ইউক্রেন আক্রমণ করার পর থেকে রাশিয়া ও ইরানের মধ্যে সম্পর্ক উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী হতে শুরু করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে ইউক্রেনে হামলার জন্য রাশিয়াকে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ করেছে। তেহরান সেই দাবি অস্বীকার করেছে।