ইন্দোনেশিয়ার সাবেক জেনারেল প্রাবোও সুবিয়ান্তো দেশটির নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে পার্লামেন্টে শপথ নিয়েছেন। ১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি হতে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার অষ্টম প্রেসিডেন্ট।
আজ রোববার জাকার্তা থেকে এ তথ্য জানায় এএফপি।
বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশ শাসনের দায়ভার গ্রহণ করেছেন জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ধারক হিসেবে পরিচিত ৭৩ বছর বয়সী সুবিয়ান্তো।
তিনি বলেন, 'আমার সর্বোচ্চ সক্ষমতার বিচারে ন্যায়সঙ্গতভাবে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন, সংবিধান সমুন্নত রাখা ও সব ধরনের আইনও ও নীতিমালা কঠোরভাবে বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করছি।'
তবে সামরিক বাহিনীতে থাকাকালীন তার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছিল বলে জানিয়েছে এএফপি।
সুবিয়ান্তো ইন্দোনেশিয়ার নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি বজায় রাখতে আগ্রহী। তবে তার নেতৃত্বে বিশ্ব মঞ্চে ইন্দোনেশিয়া আরও সরব থাকবে, এমন ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।
ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ধাপের ভোটে বড় ব্যবধানে জয়ী হন সুবিয়ান্তো। সঙ্গে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে ছিলেন উইদোদোর ছেলে জিবরান রাকাবুমিং রাকা (৩৭)।
নির্বাচনী ইশতেহারে শিশুদের জন্য দুই হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যমানের খাবার বিনামূল্যে দেওয়ার উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন এই দুই নেতা।
সুবিয়ান্তোর শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে রাজধানী জাকার্তাকে নিরাপত্তার চাদরে ঘিরে ফেলা হয়েছে। এ সময় প্রায় এক লাখ পুলিশ ও সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়, যাদের মধ্যে ছিলেন দাঙ্গা পুলিশ, স্নাইপার ইউনিট ও ড্রোন-বিধ্বংসী ইউনিট।
১৯৪৫ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর তিনি হতে যাচ্ছেন ইন্দোনেশিয়ার অষ্টম প্রেসিডেন্ট।
শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড লেমি ও চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং সহ ২০-৩০ জন বিদেশি কূটনীতিক অংশ নেন।
চীনের ভাইস প্রেসিডেন্ট হান ঝেং এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর নেতারাসহ ৩০টিরও বেশি দেশের নেতা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
আমেরিকান প্রতিনিধিদলের মধ্যে ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্টে জো বাইডেনের পক্ষে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এবং ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ডের মার্কিন কমান্ডার অ্যাডমিরাল স্যামুয়েল পাপারোও।