দখলদার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তাকে ও তার স্ত্রীকে হত্যাচেষ্টার জন্য হিজবুল্লাকে চড়া মূল্য দিতে হবে।
গত শনিবার ইসরাইলের তেল আবিব শহরের উত্তরে সিজারিয়া এলাকায় নেতানিয়াহুর বাসভবনে আঘাত হানে লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর একটি ড্রোন। তবে ওই সময় নেতানিয়াহু ও তার স্ত্রী সেখানে ছিলেন না।
নেতানিয়াহু বলেন, ইরানের সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো যারা আজ আমাকে ও আমার স্ত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছে, তারা একটা বড় ভুল করল।
বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তবে কথাগুলো তিনি কখন, কোথায় বলেছেন ওই প্রতিবেদনে তা উল্লেখ করা হয়নি।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেছেন, ফিলিস্তিনের গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে জয় না পাওয়া পর্যন্ত ইসরাইল যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। এ জয়ের পথে যুদ্ধ থেকে কোনো কিছুই তাকে আটকাতে পারবে না।
গত বুধবার ইসরাইলের হামলায় নিহত হন হামাসপ্রধান ইয়াহিয়া সিনওয়ার। সে ঘটনার দিকে ইঙ্গিত করে ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, আমরা হত্যাকারী ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে (পৃথিবী থেকে) সরিয়ে দিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আমি বলেছি, আমরা নিজেদের পুনরুত্থানের যুদ্ধ করছি। শেষ পর্যন্ত এ যুদ্ধ চালিয়ে যাব আমরা।
এদিকে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলার পর ইসরাইলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎস বলেছেন, নেতানিয়াহুকে হত্যাচেষ্টার মধ্য দিয়ে ইরানের সত্যিকারের চেহারা প্রকাশিত হয়েছে।
গত সেপ্টেম্বর থেকে লেবাননে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল। পাল্টা জবাবে হিজবুল্লাহও প্রায়ই ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র ও রকেট ছুড়ছে। এরই মধ্যে নেতানিয়াহুর বাসভবনে হামলাকে গুরুতর নিরাপত্তা ব্যর্থতা হিসেবে দেখছে ইসরাইল। ইসরাইলের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তাব্যবস্থা ফাঁকি দিয়ে কীভাবে এই ড্রোন আঘাত হানল, তা নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে দেশটি।
নেতানিয়াহুর বাসভবন ছাড়াও শনিবার ইসরাইল লক্ষ্য করে বিপুল পরিমাণ রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এদিন সকাল থেকেই দেশটির বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বাজতে শোনা গেছে। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, অন্তত ১১৮টি রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ। এর মধ্যে বেশির ভাগ রকেটই ছোড়া হয় উত্তর ইসরাইল লক্ষ্য করে।