ইসরায়েলের সঙ্গে বাড়তি উত্তেজনা এবং গাজা ও লেবাননে যুদ্ধের মধ্যে সামরিক বাজেট বাড়ানোর পথে হাঁটছে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ইরান। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) ইরান সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি জানান, প্রায় তিন গুণ করা হচ্ছে দেশটির সামরিক খাতের বাজেট। খবর আল জাজিরার।
পরিকল্পিত সামরিক বাজেট বৃদ্ধির প্রস্তাব সরকার সংসদে অনুমোদনের জন্য পেশ করেছে। এই প্রস্তাবিত বাজেটটি নিয়ে আলোচনা হবে এবং সংসদ সদস্যরা ২০২৫ সালের মার্চ মাসে এটি চূড়ান্ত করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
ফাতেমেহ মোহাজেরানি বলেন, দেশের প্রতিরক্ষা চাহিদা মেটাতে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ বিষয়ে এখন বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। সামরিক বাজেটে ২০০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি দেখা যেতে পারে। তবে এর বাইরে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি।
থিংক ট্যাংক প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (এসআইপিআরআই) তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে ইরানের সামরিক ব্যয় ছিল প্রায় ১০ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। অন্যদিকে ওই বছর ইসরায়েল সামরিক খাতে ২৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে।
ওয়াশিংটন ডিসি ভিত্তিক থিংক ট্যাংক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন্স জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ইসরায়েলকে অন্তত ১২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংক থেকে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে সামরিক খাতে ৬ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছিল ইরান।
গত শনিবার ইরানের সামরিক ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। ইলাম, খুজেস্তান ও তেহরানে প্রায় ২০টি স্থানে এসব হামলা হয় এবং চারজন সেনা নিহত হয়। ইরানের গত ২ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে এই হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।
অন্যদিকে হিজবুল্লাহ, হামাস এবং ইরানি সামরিক বাহিনীর নেতাদের হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ওই দিন প্রায় ২০০ এর মতো ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলে নিক্ষেপ করে তেহরান।