ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রায় ৪ সপ্তাহ পর গত ২৬ অক্টোবর ইরানে বিমান হামলা চালায় ইসরাইল। ইরানের তিনটি প্রদেশের কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন তৈরির স্থাপনায় তিন দফায় এই হামলা চালানো হয়। এবার জানা গেছে, ৫ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনের আগে ইসরাইলকে এই হামলার জবাব দেবে ইরান।
তেহরানের বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদ সিএনএন। বুধবার (৩০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে টাইমস অব ইসরাইল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান তার ভূখণ্ডে ইসরাইলের সাম্প্রতিক আক্রমণের একটি ‘সুনির্দিষ্ট এবং শোচনীয়’ প্রতিক্রিয়া দেবে। সম্ভবত ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এই হামলা হতে পারে।
ইসরাইলে হামলার আলোচনার বিষয়ে অবহিত থাকা সূত্রটি বলেছে, ‘ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের ইহুদিবাদী শাসকদের আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া সুনিশ্চিত এবং শোচনীয় হবে।’
এর আগে ১ অক্টোবর ইসরাইলকে লক্ষ্য করে প্রায় ২০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছিল ইরান। হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়া, হিজবুল্লাহপ্রধান হাসান নাসরুল্লাহ এবং ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীলফরৌশনের হত্যাকাণ্ডের প্রত্যুত্তরে ইসরাইলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছিল তেহরান। তবে এসব ক্ষেপণাস্ত্রের অধিকাংশ লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার আগেই ভূপাতিত করার দাবি করে ইসরাইল।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, ইরান ‘বড় ভুল করেছে’ এবং ‘এর মাশুল দিতে হবে’।
আর ১ অক্টোবরের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ২৬ অক্টোবর শনিবার রাতে ইরানে হামলা চালায় ইসরাইল। ইসরাইলের হামলায় চার সেনা নিহত এবং ‘সীমিত ক্ষয়ক্ষতি’ হয়েছে দাবি করে ইরান। তবে হামলায় নিজেদের ‘সব লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে’ বলে সফলতার দাবি করেন নেতানিয়াহু।
এ দিকে ইসরাইল তেহরানকে সতর্ক করেছে, তার ভূখণ্ডে আর কোনো হামলা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।