মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে চলছে যুদ্ধের দামামা। যেকোনো সময় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এর মধ্যে ইসরায়েলে পাল্টা হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে আরও সেনা ও অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। খবর এএফপির।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরানকে সতর্ক করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে যেসব অস্ত্র মোতায়েন করবে তার মধ্যে রয়েছে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, দূরপাল্লার বি-৫২ বোমারু যুদ্ধবিমান।
এনিয়ে পেন্টাগনের মুখপাত্র মেজর জেনারেল প্যাট রাইডার বলেন, ইরান, তার মিত্রদেশ অথবা ইরানের বদলে অন্য কোনো দেশ যদি মার্কিন সেনা বা এই অঞ্চলকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করে, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের জনগণকে সুরক্ষিত করতে সব ধরনের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
এর আগেও ইসরায়েলকে সহায়তায় মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। সেইসঙ্গে গতমাসে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে ক্ষেপণাস্ত্র বিধ্বংসী থাড দেয়।
প্যাট রাইডার বিবৃতিতে গতকাল বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্যে আগামী মাসগুলোয় নতুন বাহিনী এসে পৌঁছানো শুরু করবে।
সম্প্রতি মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খামেনি ইসরায়েলে হামলা চালানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
গত সোমবার খামেনির বৈঠকের পরেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইরানের তিনজন কর্মকর্তা। আলোচনায় খামেনি জোর দিয়ে বলেছেন, ইসরায়েলি হামলার কোনো জবাব না দেওয়া মানে পরাজয় স্বীকার করে নেওয়া।
ইরানি কর্মকর্তারা নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, ৫ নভেম্বর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরেই ইসরায়েলে হামলা চালানো হতে পারে।
সূত্রের বরাতে বুধবার অ্যাক্সিওস এবং সিএনএন জানিয়েছে, ইরান প্রতিশোধ নিতে যুদ্ধের যে পরিকল্পনা করেছে তাতে ইসরায়েলে হামলা মার্কিন নির্বাচনের আগেই হতে পারে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই মধ্যপ্রাচ্যে সেনা ও অস্ত্র মোতায়েনের কথা জানালো যুক্তরাষ্ট্র।